বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছে লিঁও
নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের সেরা তারকা নাবিল ফেকিরকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল অলিম্পিক লিঁও। তবে তাকে ছাড়াই বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছে দলটি। ঘরের মাঠে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে প্রায় সমান তালে লড়াই করে তারা। ফলে গোলশূন্য ভাবে শেষ হয় শেষ ষোলোর প্রথম লেগের লড়াই।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই বিপদজনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল বার্সেলোনা। ১৮ গজ দূর থেকে মেসির নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে গোল দেওয়ার সুযোগ ছিল লিঁওরও। হোউসেম আওয়ারের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান।
ম্যাচে নবম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি পেয়েছিল স্বাগতিকরাই। সে যাত্রা দলকে রক্ষা করেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান। তবে ভাগ্যও সঙ্গ দিয়েছে অতিথিদের। মৌসা দেম্বেলের পাস থেকে মার্টিন তেয়ারির জোরালো শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান স্টেগান। তারপর বারপোস্টে লেগে বল ফিরে আসলে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বার্সেলোনা।
১৫তম মিনিটে মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিট পর উসমান দেম্বেলের একক প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন লিঁও গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ। ৩৬তম মিনিটে সুয়ারেজের আলতো চিপ ধরে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি তার। দুই মিনিট পর ছোট ডিবক্সের মধ্যে দেম্বেলেকে দারুণ পাস দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু নিজে শট না নিয়ে সুয়ারেজকে পাস দিতে গিয়েই ভুল করেন এ ফরাসী।
৪৪তম মিনিটে অবশ্য দারুণ শট নিয়েছেন দেম্বেলে। কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে নিজেদের মধ্যে দেওয়া নেওয়া করে তেয়ারির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে অল্পের জন্য বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। সের্জিও বুসকেতসের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক বদলে বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বার্সেলোনা। উল্টো নিজেদের রক্ষণ আগলে রেখে মাঝে মধ্যেই পাল্টা আক্রমণে গিয়েছে স্বাগতিকরা। ৬২ মিনিটে জটলা থেকে নেওয়া সুয়ারেজ শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এক ডিফেন্ডার। তিন মিনিট পর দেম্বেলের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তাকে হতাশ করেন গোলরক্ষক লোপেজ।
৭০তম মিনিটে জর্দি আলবার পাস থেকে সুয়ারেজের নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর আবারো সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। আলবার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতো দলটি। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হন এ উরুগুইয়ান। পরের মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ফিলিপ কৌতিনহোর দূরপাল্লার প্রচেষ্টা নষ্ট করে দেন গোলরক্ষক লোপেজ।
৭৬তম মিনিয়ে সুয়ারেজের পাস থেকে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। তবে বল ঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সে সুযোগ হাতছাড়া হয়। ১০ মিনিট পর আবারো দলকে রক্ষা করেন লিঁও গোলরক্ষক। মেসির পাস থেকে দারুণ শট নিয়েছিলেন বুসকেতস। ঝাঁপিয়ে পড়ে এ শট রুখে দেন লোপেজ। পরের মিনিটে মেসির ক্রসে গোলবারের একবারে সামনে থাকা সুয়ারেজ ফাঁকায় মাথায় ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতে পারতো বার্সা।
Comments