প্রথম ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট: ৮ বছর শেষে ৫১ শতাংশ ব্যবহৃত
তিন ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও, উভয় দেশের প্রযুক্তিগত এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেসব আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত আট বছরে প্রথম এলওসির ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ব্যবহারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া স্বত্বেও এর মাত্র অর্ধেকের কিছু বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়াও, ভারত যখন দ্বিতীয় এলওসির ২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে যতদূর জানা যায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে, বাংলাদেশ তখনও তৃতীয় এলওসির ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্য থেকে কোন অর্থ ব্যবহার করতে পারেনি।
ভারতীয় ঋণের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য উভয় পক্ষকেই দায়ী করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্প ও পরামর্শক নির্বাচন, প্রকল্পে নকশা প্রণয়ন, জমি অধিগ্রহণ এবং দক্ষ জনবল সংগ্রহের জন্য একদিকে বাংলাদেশ দায়ী। কারণ- এই কাজগুলি সম্পন্ন করতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে।
“অপরদিকে, প্রতিটি প্রকল্পের প্রত্যেক ধাপ ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদিত হতে হয়, যা একটি দীর্ঘ আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া,” নাম না জানানোর শর্তে বলেন ওই কর্মকর্তা।
তবে, উভয় দেশের কর্মকর্তারাই এখন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য চাপ দিচ্ছেন।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ পর্যবেক্ষক দল আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি প্রকল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য বৈঠকে বসবে। এ নিয়ে গত তিনমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বসতে যাচ্ছেন তারা।
সে সময় ঢাকায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস, এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা এবং প্রকল্পের ঠিকাদাররা যোগ দেবেন।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে এলওসির মাধ্যমে ঋণ দিতে শুরু করে ভারত। প্রথমে ১০০ কোটি ডলার ঋণচুক্তি হয়। পরে ওই ঋণের ১৪ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে দেয় ভারত। ২০১৫ সালের দ্বিতীয় এলওসিতে ২০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়।
দেখা গেছে, প্রথম দুটি এলওসিতে বাস, ট্রাক, ট্রেনের ইঞ্জিন, বগি, ড্রেজারসহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্পই বেশি। সরাসরি ভারত থেকে এসব বাস, ট্রাক, ট্রেনের ইঞ্জিন, বগি কেনা হয়। তবে তৃতীয় এলওসিতে বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বেশি।
(সংক্ষেপিত, পুরো রিপোর্ট পড়তে নিচের ইংরেজি লিংকে ক্লিক করুন)
Comments