সনাক্ত হওয়া লাশ হস্তান্তর করছে ঢাকা মেডিকেল

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুপুর পর্যন্ত ৩৭ জনের লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সনাক্ত হওয়া এই লাশগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লাশ হস্তান্তর করতে শুরু করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছবি: শাহীন মোল্লা

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুপুর পর্যন্ত ৩৭ জনের লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সনাক্ত হওয়া এই লাশগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ঢাকা মেডিকেলে চকবাজারে প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানদার কামাল হোসেনের (৫০) দেহ সনাক্ত করেন তার ভাই দেলোয়ার হোসেন। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পরিবারের সদস্যদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। গতরাতে কামাল তার দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশে বের হওয়ার পর আগুনের কবলে পড়ে প্রাণ হারান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ সনাক্ত করছেন স্বজনরা। ছবি: শাহীন মোল্লা

অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ দাফনের জন্য তাদের ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সনাক্ত হওয়া ৩৭ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।

ঢাকার জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বলেন সব লাশের পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অগ্নিকাণ্ডে মোট ৪১ জন আহত হয়েছেন বলেও তিনি জানান।

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে মোট ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাশ সনাক্ত করতে হাসপাতালের মর্গের কাছে একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।

দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ৯ জনকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে আইসিইউ-তে ও অন্যান্যদের পোস্ট অপারেটিভ রুমে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০​

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago