রিয়ালকে উড়িয়ে দিয়েই কোপার ফাইনালে বার্সা
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/000_1e00vb.jpg?itok=q4hX-guV×tamp=1551304425)
ন্যু ক্যাম্প থেকে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু নিজেদের ঘরের মাঠে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করেছিল দলটি। কিন্তু উল্টো বার্সেলোনার কাছে পাত্তাই পেল না তারা। লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে বড় মানতে হয় তাদের। ফলে কোপা দেল রের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কেটেছে এ আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি লিওনেল মেসি। কিন্তু তার ষোলো আনাই মিটিয়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ। দারুণ খেলেছেন এ স্ট্রাইকার। দারুণ খেলেছেন উসমান দেম্বেলেও। মূলত এ দুই তারকার কেমেস্ট্রিতেই সর্বনাশ হয় রিয়ালের। সুয়ারেজের প্রথম গোলে বড় অবদান ছিল দেম্বেলের। দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে দেম্বেলের শট থেকেই।
ম্যাচের তিনটি গোলই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ করে সুবিধা করে উঠতে পারেনি রিয়াল। ভিনিসিয়াস জুনিয়র বেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কোন শটই। ১৯তম মিনিটে ফাঁকায় পেয়েও ভিনিসিয়াস জুনিয়র লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। চার মিনিট পর জটলায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন লুকাস ভাসকেস। কিন্তু তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন মার্ক টের স্টেগান।
৩৭তম মিনিটে ভিনিসিয়াসের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন করিম বেনজেমা। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত শট নিতে পারেননি। গোলরক্ষক বরাবর শট নিলে তা ফিরিয়ে দেন স্টেগান। পরের মিনিটে আবারো ফাঁকায় ভিনিসিয়াস। কিন্তু তার শট বারপোস্টের উপর দিয়ে চলে গেলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে বার্সেলোনা। সে ধারায় এগিয়ে যেতেও খুব বেশি সময় নেয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন সুয়ারেজ। নিজেদের অর্ধ থেকে ক্লেমো লিংলের ক্রসে বাঁপ্রান্তে বল পান জর্দি অলবা। ডান দিকে ক্রস দেন দেম্বেলেকে। তার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন সুয়ারেজ।
গোল খেয়ে তা পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে রিয়াল। বেশ কিছু দারুণ সুযোগও তৈরি করে তারা। ৫৫ মিনিটে টনি ক্রুসের কর্নার থেকে ফাঁকায় হেড দিয়েছিলেন কাসেমিরো। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। পাঁচ মিনিট পরও সুযোগ ছিল লুকাস ভাসকেসেরও। ৬২ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিল তারা। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রসে দুর্দান্ত এক হেড নিয়েছিলেন সের্জিও রিগুইলন। কিন্তু তার চেয়েও দারুণ দক্ষতায় অবিশ্বাস্যভাবে ঝাঁপিয়ে পরে তার হেড ফিরিয়ে দেন মার্ক টের স্টেগান।
পাঁচ মিনিট পর কারবাহালের কোণাকোণি শট ঝাঁপিয়ে পরে লুফে নেন স্টেগান। একটু পর তো আবারো অবিশ্বাস্য স্টেগান। এবার তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। দারুণ শটও নিয়েছিলেন কোণাকোণি। কিন্তু তার একক প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে পরে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন স্টেগান।
পাল্টা আক্রমণ থেকে ৬৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। এবারও সুয়ারেজ দেম্বেলের রসায়ন। ডান প্রান্ত থেকে সুয়ারেজকে দারুণ ক্রস করেছিলেন দেম্বেলে। কিন্তু তা ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন কাসেমিরো। তিন মিনিট পর আবার ভিলেন এ ব্রাজিলিয়ান। এবার ডিবক্সে সুয়ারেজকে ফাউল করেন তিনি। ফলে পেনাল্টি পায় বার্সা। সফল স্পটকিকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন এ উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
শেষদিকে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছিল রিয়াল। ৮৫ মিনিটে ফাঁকায় শট নিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় গ্যারেথ বেল। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ফলে ০-৩ গোলের বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালকে। ফাইনালের টিকেট পেয়ে যায় বার্সেলোনা।
Comments