দেশে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ ঋণখেলাপি: অর্থমন্ত্রী
২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা দুই লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ জন বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ ঋণ খেলাপির নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন।
এরা হলো- কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেড, সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেড, বি. আর. স্পিনিং মিলস লিমিটেড, সুপ্রোভ স্পিনিং লিমিটেড, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, রাইজিং স্টিল লিমিটেড, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড, বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস, এস এ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড, রুবিয়া ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টস লিমিটেড, সুপ্রোভ রোটর স্পিনিং লিমিটেড, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী নিটওয়্যারস লিমিটেড, সিদ্দিক ট্রেডার্স, রুপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেড, আলপ্পা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড এবং এম এম ভেজিটেবল অয়েল প্রডাক্টস লিমিটেড।
আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের আরেক সাংসদ হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ২৮৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
খেলাপি ঋণের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১২ হাজার ৫২৬ কোটি ৫৩ লাখ, জনতা ব্যাংকের ১২ হাজার ২২ কোটি ৫৪ লাখ, বেসিক ব্যাংকের ৮ হাজার ৪৪১ কোটি ৫৬ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকের ৫ হাজার ৬৪৮ কোটি ৫৩ লাখ, রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ৮৭০ কোটি ৪৭ লাখ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৭৭৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী তার উত্তরে বলেন, সরকার ছাড়াও বাংলাদেশে ব্যাংক এসব খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য বিদ্যমান আইনগুলিতে সংশোধন আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Comments