রিয়ালকে আবারো হারাল বার্সেলোনা
আগেই রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়েছিল বার্সেলোনা। তাই লিগে টিকে থাকতে হলে এল ক্লাসিকোতে জয়ের বিকল্প ছিলো না রিয়ালের। কিন্তু এদিন ঘরের মাঠে হেরে গেছে তারা। ফলে লিগ শিরপার দৌড় থেকে এক প্রকার ছিটকেই গেল দলটি। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে এখন তারা ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে। এদিন বার্সেলোনার কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে সের্জিও রামোসের দল।
চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তৃতীয় এল ক্লাসিকো ম্যাচে হারল রিয়াল। লিগের প্রথম ম্যাচে অবশ্য অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল দলটি। ন্যু ক্যাম্পে সেবার বার্সার কাছে ৫-১ গোলে হারে তারা। কদিন আগেই বার্নাব্যুতে কোপা দেল রের ম্যাচে বার্সার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়। অবশ্য কোপা দেল রের প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্প থেকে ড্র করে ফিরেছিল তারা। নিজেদের মাঠে শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তৃতীয় মিনিটেই বিপদজনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল রিয়াল। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বেল। ১৩তম এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। তবে রাফায়েল ভারানের শট ক্লেমো লংলে ফিরিয়ে দিয়েন। ফিরতি বল টনি ক্রুসের শট লুফে নেন গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান। দুই মিনিট পর সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে সুয়ারেজের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়া।
১৯তম মিনিটে সুয়ারেজের পাস থেকে গোল করার মতো ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তার ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর লক্ষ্যে ভালো শট নিয়েছিলেন লুকা মদ্রিচ। কিন্তু ডিবক্স থেকে তা ফিরিয়ে দেন পিকে। ২৬তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় বার্সেলোনা। ডান প্রান্ত থেকে সের্জিও রোবার্তোর বাড়ানো বলে আলতো চিপে গোল আদায় করে নেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ।
৩২তম মিনিটে রেগুলুনের শট লক্ষ্যে থাকেনি। পাঁচ মিনিট পর বিপদজনক জায়গা থেকে মেসির নেওয়া ফ্রিকিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৯ মিনিটে ব্যবধানে বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পায় অতিথিরা। ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি সুয়ারেজ। তার শট ঝাঁপিয়ে পরে ফিরিয়ে দেন কর্তুয়া। ফিরতি বলে শট নিয়েছিলেন মেসি। তার শট ঝাঁপিয়ে পরে লুফে নেন রিয়াল গোলরক্ষক।
৪৫তম মিনিটে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মদ্রিচ। প্রথমার্ধের শেষদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে মাঠে। মেসিকে হাত দিয়ে চাপর মেরেছিলেন সের্জিও রামোস। তবে রেফারি বিষয়টি এড়িয়ে যান। ৪৮তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি পান বেনজেমা। ফাঁকায় গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তিন মিনিট পর কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু বল ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হলে ব্যবধান সুযোগ হারায় বার্সা।
৫৬তম মিনিটে ভিনিসিয়াসের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক স্টেগান। পরের মিনিটে দেম্বেলের কোণাকোণি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৯তম মিনিটে রাকিতিচের ভুলে গোল প্রায় খেয়ে বসেছিল রিয়াল। ডি বক্সে ঠিকভাবে বল ফেরাতে না পারলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। তবে তার শট ফিরিয়ে দেন স্টেগান। ৭০ মিনিটে মেসির ক্রস থেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন দেম্বেলে। কিন্তু তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
শেষদিকে গোল শোধ করতে আক্রমণের ধার বাড়ায় রিয়াল। কিন্তু লাভ হয়নি। ৮৭ মিনিটে বেনজেমার শট ধরতে তেমন সমস্যা হয়নি স্টেগানের। ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। দুই মিনিট পর ভিদালের পাসে দারুণ শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু অল্পের জন্য থাকেনি। তবে তাতে বার্সেলোনার জয় আটকে থাকেনি। ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরছে তারা।
Comments