রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির পর থামলেন সৌম্য
আগের দিন যখন নেমেছিলেন দল ছিল খাদের কিনারে। ইনিংস হার এড়াতেই করতে হবে ৪৮১ রান কিন্তু ১১০ রানেই নেই ৩ উইকেট। ওই পরিস্থিতিতে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নিল ওয়েগনারদের তোপ সামলে সৌম্য সরকার টিকে রইলেন, রানও বাড়ালেন। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে নেমে যা করলেন তা শুধু চোখ মেলে দেখতে হয়। এমন দিনে রেকর্ডও না হয়ে পারে না। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ভাগ বসালেন তামিম ইকবালের সঙ্গে।
১৭১ বলে ২১ আর আর ৫ ছক্কায় সৌম্য অবশেষে আউট হয়েছেন ১৪৯ রানে। দলের রান তখন ৩৬১। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েছেন ২৩৫ রানের জুটি।
আঘাতের জবাবে পালটা আঘাত। সৌম্যের ব্যাটে ছিল এমনই খুনে মেজাজ। ছিল রাজকীয় দাপট। আগের দিনের ৩৯ রানকে মুহুর্তের মধ্যেই নিয়ে গেলেন সেঞ্চুরির কিনারায়। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ভেঙে ফেলবেন তামিমের রেকর্ডই। ৯২ বলে তিনি তখন ৯৯ রানে। পরের বলে এক রান নিলেই বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডটা তার হয়ে যেত। কিন্তু সাউদির বাউন্সারে রান নিতে পারলেন না, এরপরের বলেই অবশ্য এক রান নিয়ে পৌঁছান তিন অঙ্কে। ৯৪ বলে সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে লর্ডসে স্মরণীয় ওই সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। টেস্টে অবশ্য সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ব্র্যান্ডন ম্যাককুলামের। ৫৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাবেক কিউই ব্যাটসম্যান।
সেঞ্চুরির পর অনেকটা স্থির হতে থাকেন সৌম্য। মনোযোগ দেন টিকে থাকার দিকে, রানের গতি তাতে কিছুটা কমে যায়। তবে বেড়ে যায় আস্থার ছবি। যেমন করে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল পেতে পারেন ডাবল সেঞ্চুরিও। একদম দেড়শো রানের কিনারে গিয়ে হয়েছে গড়বড়। বোল্টের বলটা আলসে ভঙিতে খেলে স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন তিনি।
Comments