তামিম খুব ভালো খেলেছে, সৌম্য ছিল দুর্দান্ত: মাহমুদউল্লাহ
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দল হেরেছে ইনিংস ও ৫২ রানে। তবু দলের দুই ব্যাটসম্যানের প্রশংসা ঝরল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে। প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের একক লড়াই, দ্বিতীয় ইনিংসেও তার দারুণ শুরু। দলকে বাঁচাতে আর খাদের কিনারা থেকে সৌম্য সরকারের দাপুটে ব্যাটিং আর নিজের দায়িত্বশীল ইনিংস হারের মধ্যেও বাংলাদেশ অধিনায়ককে দিচ্ছে স্বস্তি।
রোববার হ্যামিল্টন টেস্টে চা-বিরতির খানিক পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ৪২৯ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে কিউইরা করেছিল ৭১৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ লড়াইয়ের পরও তাই এড়ানো যায়নি ইনিংস হার।
তৃতীয় দিনের বিকেল থেকে এই লড়াইয়ের শুরুটা অধিনায়কের সঙ্গে মিলে করেছিলেন সৌম্য। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ২৩৫ রানের জুটি। যাতে সৌম্যের একারই ১৪৯। মাত্র ৯৪ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছে তামিমের সঙ্গে টেস্টে দেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে ভাগ বসানো সৌম্য ব্যাটে ছিল রাজকীয় ঢঙ।
১৭১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২১ চার আর ৫ ছক্কা। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নিল ওয়েগনারদের গতি, স্যুয়িং আর বাউন্সার সৌম্যের পালটা আঘাতে হয়েছে কাবু। চোখ ধাঁধানো সব শটে পুরো সময়টা নিজের করে নেওয়া এই বাঁহাতি আগ্রাসী ব্যাটসম্যানকে অধিনায়ক ম্যাচ শেষে ভাসালেন প্রশংসায়, ‘আমার মনে হয় ওই সময়টাতে সৌম্যের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ও খুব স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিল। সুযোগগুলো ও নিচ্ছিল। এবং আপনি যদি দেখেন বোলার ভালো বাউন্সার মারছে এবং ওই সময় যদি বাউন্ডারি মারতে পারেন তাহলে ওভারে চার-পাঁচ করে আসতে পারে তখন বোলারের জন্য হতাশা তৈরি হয়। তো ওই কাজটা সৌম্য খুব ভালো করছিল।’
প্রথম ইনিংসে এমনই আগ্রাসী ব্যাট চালিয়েছিলেন তামিমও। তার ১২৮ বলে ১২৬ রানের ইনিংসের পরও বাংলাদেশ করতে পারে মাত্র ২৩৪। দ্বিতীয় ইনিংসেও তামিম করেন ৭৪। দল হারলেও দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইতিবাচক কিছু দেখছেন অধিনায়ক, ‘ব্যাটসম্যানদের জন্য ইতিবাচক কিছু নিয়ে যেতে পারছি দ্বিতীয় টেস্টে। তামিম খুব ভাল ব্যাট করেছে। সৌম্য ছিল দুর্দান্ত।’
‘তামিমের একটা বিষয় বলতে চাই। একটা পর্যায়ে তামিমকে যখন একের পর এক বাউন্সার মারছিল। ও সবচেয়ে ভালো পুল হুক খেলে। ওই সময়টায় ও সারভাইভ করে।’
সৌম্য আগ্রাসী ব্যাট করে সুর বেধে দিলেও দায়িত্ব মাথায় নিয়ে সর্বোচ্চ নিবেদনই দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ নিজে। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউটের আগে ইনিংস হার এড়াতে লড়ছিলেন প্রাণপণে। ৩১৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ২২৯ বলে করেন ১৪৬।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে জানালেন থিতু হয়ে ক্রিজ আঁকড়ে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি, ‘আমি চেষ্টা করেছি একটু সময় নিতে যাতে ওরাও একটু ক্লান্ত হলে আমি আমার সুযোগগুলো নিতে পারব। আমি ওই চিন্তায় ব্যাট করছিলাম।’
Comments