ওবায়দুল কাদের চোখ খুলছেন কিন্তু শঙ্কামুক্ত নন: বিএসএমএমইউ
ওবায়দুল কাদেরের সর্বশেষ অবস্থার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসকরা জানান, তার অবস্থা এখনও সংকটমুক্ত বলা সম্ভব নয়। তবে তিনি তিনি চোখ খুলছেন এবং কথা বলছেন। তিনি পা নাড়াতে পারছেন।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আজ ভোরে ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা করে ডাক্তাররা তার করোনারি রক্তনালীতে তিনটি ব্লক থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তার হার্ট এটাক হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি ধমনিতে রিং বসিয়ে রক্ত চলাচলের পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
তবে তিনি এখনো বিপদমুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দেখতে যাওয়ার পর ডাকলে তিনি চোখ নাড়াচ্ছিলেন। এর পর রাষ্ট্রপতির ডাকে তিনি চোখ খোলেন।
কাদেরের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, এক পর্যায়ে তার হৃৎস্পন্দন কমে মিনিটে ৩৫ হয়ে গেলে অস্থায়ী পেসমেকার স্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য আনার জন্যও চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। তার ডান পাশের করোনারি রক্তনালীটি ১০০ শতাংশ বন্ধ রয়েছে। আর যে রক্তনালী দিয়ে হৃদপিণ্ডের পেশিতে রক্ত সরবরাহ হয় সেটিতে স্টেন্ট (রিং) বসিয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার আরেকটি করোনারি রক্তনালীতে ব্লক রয়েছে।
উন্নততর চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে চিকিৎসকরা বলেন, এখনই তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে নেওয়া হলে শারীরিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। এই অবস্থায় উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো যন্ত্র ও লোকবল এয়ার এম্বুলেন্সে থাকলেই কেবল তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
অন্যদিকে বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “তিনি (কাদের) এখন লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
Comments