রাকিতিচকে নিয়ে কি করবে বার্সা?
‘নামে ছোট কিন্তু বড় কাজের খেলোয়াড়।’ বিইন স্পোর্টসের বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিয়ে ইভান রাকিতিচ সম্পর্কে ঠিক এমনটাই বলেছেন স্পেশাল ওয়ান হোসে মরিনহো। অথচ সেই রাকিতিচকে কিনা বিক্রি করে দিচ্ছে বার্সেলোনা। আগামী মৌসুমে যে সকল খেলোয়াড় বিক্রয় করবে ক্লাবটি তার মধ্যে এ ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডারের নামই রয়েছে প্রথমে।
শনিবার লা লিগার এল ক্লাসিকোতে দুর্দান্ত খেলেছেন রাকিতিচ। এমনকি তার গোলেই রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে দলটি। শুধু সে ম্যাচই নয়, পুরো মৌসুম জুড়েই অসাধারণ খেলে যাচ্ছেন এ মিডফিল্ডার। মাঝ মাঠের নেতৃত্ব থাকছে তার হাতেই। বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার ফাইনাল খেলার পেছনে অনন্য অবদান রেখেছেন তিনি। আর তার এমন পারফরম্যান্সের কারণে কোচ এরনেস্তো ভালভার্দেও তাকে ছাড়তে চাইছেন না। আর তাতে মধুর সমস্যায় পড়েছেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমিউ।
মূলত আয়াক্স থেকে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংকে কেনার পর থেকেই বার্সেলোনায় রাকিতিচের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পিএসজির আদ্রিয়ান রাবিওতের সঙ্গে চুক্তিও অনেকটাই এগিয়ে। লক্ষ্যে আছে আরও বেশ কিছু খেলোয়াড়। এছাড়াও এফএফপির নীতি অনুযায়ী খেলোয়াড় কেনা বেচায় সর্বশেষ তিন মৌসুমে একটি ক্লাব কখনো ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি ক্ষতির মধ্যে থাকতে পারবে না। মাথায় রয়েছে এ বিষয়টিও।
এছাড়াও বর্তমান ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে খরুচে ক্লাবটিই বার্সেলোনা। গত দুই মৌসুমে খেলোয়াড় কিনতেই ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করেছে তারা। এছাড়া খেলোয়াড়দের বেতন ভাতাতেও শীর্ষে তারা। এক লিওনেল মেসিকেই তারা বেতন দেয় মাসিক ৮.৩ মিলিয়ন ইউরো। সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকার সেরা দশে বার্সেলোনারই ১০ জন। লুইস সুয়ারেজ ২.৯ মিলিয়ন ইউরো এবং ফিলিপ কৌতিনহো ২.৩ মিলিয়ন ইউরো বেতন পান।
তাই সবমিলিয়ে ঘাটতি পোষাতে কিছু খেলোয়াড়কে বেচতে চাইছে বার্সেলোনা। কিন্তু দলের অন্যতম প্রধান পারফর্মারকে বেচতে নারাজ ভালভার্দে। এখন বিষয়টি নির্ভর করছে বার্তেমিউর উপর। কিন্তু বাজেটের ব্যাপারটা মাথা রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাকে। তাই রাকিতিচকে নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েছে দলটি।
রাকিতিচকে বিক্রি করতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বার্সেলোনাকে। অনেক দিন থেকেই রাকিতিচকে পেতে চাইছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু তার রিলিজ ক্লজ ১২৫ মিলিয়ন ইউরো হওয়াতেই পেরে উঠছিল তারা। তাকে পেতে চাইছে ইন্টার মিলানের মতো দলও। চোখ রয়েছে ইতালির আরেক ক্লাব জুভেন্টাস ও জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখেরও।
Comments