কেন নিউজিল্যান্ডেও বিবর্ণ পেসাররা?

Courtney Walsh
ফাইল ছবি: স্টার

সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের পেস আক্রমণে ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন আর শুভাশিস রায়। এবারের সফরে তাদের কেউই নেই। তাসকিন নেই চোটের কারণে, বাকিরা পারফরম্যান্সের বিচারে। ২০১৭ সালে সেবার সেটা ছিল টেস্টে অনভিজ্ঞ এক পেস আক্রমণ। এবারও বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে গেছে নতুন এক পেস আক্রমণ নিয়ে। উপমহাদেশেরর বাইরের কন্ডিশনে বারবার এমন আনকোরা পেস আক্রমণ নিয়ে খেলাতেই বড় সমস্যা দেখছেন পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।

হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে থাকা তিন পেসারের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ আবু জায়েদ রাহির ঝুলিতে ছিল মাত্র ৩ টেস্ট। সৈয়দ খালেদ আহমেদ নেমেছিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে আর ইবাদত হোসেনের হয় ওই টেস্টেই অভিষেক। এই ম্যাচে না খেলা মোস্তাফিজুর রহমানের অভিজ্ঞতাও যে খুব বেশি, তাও না। সব মিলিয়ে ঘুরেফিরে তিনি খেলেছেন ১২ টেস্ট।

প্রথম টেস্টে অনভিজ্ঞ এই তিন পেসার মিলে পেয়েছেন কেবল ১ উইকেট। দেশে খেলা হলে স্পিনাররাই নেন মূল ভূমিকা। উপমহাদেশের বাইরে গিয়ে সে সুযোগ ছিল না। পেসাররাও ব্যর্থ হওয়ায় কিউইরা চড়েছে রান পাহাড়ে।  সহায়ক কন্ডিশন পেয়েও পেসারদের বেহাল দশা কেন, এই প্রশ্ন হয়েছে চড়া।

স্বাভাবিক কারণে তার জবাব চাওয়া হয়েছে ওয়ালশের কাছে। পেস বোলিং কোচের ব্যাখ্যা কোন একটা সেটআপকে থিতু হতে না দেওয়াতেই হয়েছে এই পরিস্থিতি, ‘পেসারদের ধারাবাহিক সুযোগ দিতে হবে। যদি আপনি এখানে এক টেস্ট আরও কিছুদিন পর অন্যখানে আরেক টেস্ট খেলেন, তাহলে আপনি উন্নতি করতে পারবেন না। এক বা দুই টেস্ট ম্যাচ পর্যাপ্ত না।’

এসব কন্ডিশনে ভালো করতে ধারাবাহিকভাবে তিন, চারজনকে খেলিয়ে যাওয়ার পরামর্শ ওয়ালশের, ‘নিউজিল্যান্ডে আগের সফরেও আমাদের নতুন বোলিং আক্রমণ ছিল, এবারও তাই। এখানে কোন ধারাবাহিকতা নেই। আমাদের এমন তিন বা চারজনকে নিতে হবে যারা ধারাবাহিকভাবে খেলবে, তাদের উপর লগ্নি করতে হবে, ভরসা করতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

16h ago