ইতিহাসই আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে ইউনাইটেডকে
প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প আগের রাতেই টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লিখে দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স। ইতিহাস আছে আরও অনেক। আছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) বিপক্ষেও। তাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও আত্মবিশ্বাসী। ঘরের মাঠে ০-২ গোলে হারলেও পিএসজির মাঠ থেকে ভালো ফলাফল নিয়ে ফেরার প্রত্যয় ঝরে কোচ ওলে গানার সুলশারের।
আর বছর দুই আগে এই পিএসজির বিপক্ষেই ইতিহাস গড়েছিল ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। প্রথম লেগে তারা হেরেছিল ০-৪ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে ৬-১ গোলের অবিশ্বাস্য জয় নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল কাতালানরা। ইউনাইটেড তাই তাদের প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাসটা সেখান থেকেই পেতে পারে। আর সে উদাহরণটাই টানলেন সুলশার।
‘সবাই জানে যে আমার এটা করতে পারি। আমরা করেছিও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত কয়েক বছরের ইতিহাসেও তা আছে। আমি এটাকে অদ্ভুত বলব না কিন্তু গত বছর জুভেন্টাস ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ০-৩ গোলে হেরেছিল। পড়ে রিয়ালের মাঠেও ৯০ মিনিট পর্যন্ত ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল। তার আগে পিএসজি-বার্সেলোনার ম্যাচেও ঘটেছিল। আমরা সবাই জানি সে ফলাফল। তাই আমাদের সামনে অনেক উদাহরণই আছে।’ – অতীত ইতিহাস টেনে এমনটাই বললেন ইউনাইটেড কোচ।
ইতিহাস যাই থাকুক কাজটা বেশ কঠিন তা ভালো করেই জানেন সুলশার। আর তাই খেলোয়াড়দের সেরাটা দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি, ‘অবশ্যই আমাদের প্রথম গোল দিতে হবে এবং এরপর ম্যাচে টিকে থাকতে হবে। যদি আধা ঘণ্টা বাকী থাকে একটা গোলে এগিয়ে থাকা যায় তাহলে যে কোন কিছুই হতে পারে। তবে আমাদের ভালো একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন যা আমাদের সঠিক জায়গায় এনে দিবে। রাতে আমাদের পারফর্ম করতে হবে কারণ তারা এমন একটি দল যেটা মান সম্পন্ন।’
তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বেশ বড়সড় ধাক্কাই খেয়েছে দলটি। প্রথম লেগের স্কোয়াডে থাকা ১০ জন খেলোয়াড়কেই পাচ্ছে না তারা। মাত্র ১০ জন সিনিয়র খেলোয়াড় নিয়ে ফ্রান্সে পা রেখেছে দলটি। নিষেধাজ্ঞার কারণে নেই পল পগবা। অসুস্থ ফিল জোন্স। আর জেসে লিংগার্ড, নেমানজা মাতিচ, আন্দের হেরেরা, হুয়ান মাতা, অ্যান্তিনিও ভ্যালেন্সিয়া, মাত্তেও দারমেইন, অ্যান্থনি মার্শিয়াল ও আলেক্সিস সানচেজ রয়েছেন ইনজুরিতে।
Comments