যে কীর্তিতে ইতিহাসের নবম ফুটবলার তাদিচ

টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে আগের দিন তাদের মাটিতেই উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে আয়াক্স। আর দলের এমন পারফরম্যান্সের মূল কারিগর ছিলেন সার্বিয়ান তারকা দাসুন তাদিচ। দারুণ এক গোল দিয়েছেন, আর সতীর্থদের করিয়েছেন আরও দুইটি। আর তাতে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন ৩০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। যেখানে ইতিহাসের নবম খেলোয়াড় তিনি।
ছবি: এএফপি

টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে আগের দিন তাদের মাটিতেই উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে আয়াক্স। আর দলের এমন পারফরম্যান্সের মূল কারিগর ছিলেন সার্বিয়ান তারকা দাসুন তাদিচ। দারুণ এক গোল দিয়েছেন, আর সতীর্থদের করিয়েছেন আরও দুইটি। আর তাতে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ৩০ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। যেখানে ইতিহাসের নবম খেলোয়াড় তিনি।

ফ্রান্সের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম এল’ইকুইপির রেটিং পয়েন্ট ফুটবল বিশ্বে দারুণ সমাদৃত। আগের দিন রিয়ালের বিপক্ষে তার সবটাই পেয়েছেন তাদিচ। পুরো ম্যাচে অসাধারণ অবদান রাখার কারণে ১০ এর মধ্যে ১০ রেটিং পেয়েছেন। এর আগে ইতিহাসে মাত্র আট জন খেলোয়াড় তা করতে পেরেছেন।

১৯৮৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ইউরোর ফাইনালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০ এ পূর্ণ ১০ পয়েন্ট পেয়েছিলেন ফ্রাঙ্ক সাউজি। এরপর গত ৩১ বছরে মোট নয় জন খেলোয়াড় এ কীর্তি গড়তে পেরেছেন। নয়জন হলেও এ কীর্তি হয়েছে মোট ১০ বার। কারণ বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি দুইবার পূর্ণ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন।

রিয়ালের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়ের পর প্রশংসায় ভাসছে আয়াক্স। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন তাদিচ। পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছেন। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই তার নৈপুণ্যে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় আয়াক্স। ডান প্রান্তে হাকিম জিয়েখকে দারুণ পাস দেন তিনি। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন জিয়েখ।

১১ মিনিট পর তো তিন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে দাভিদ নেরেসকে নিখুঁত এক পাস দেন তাদিচ। সে বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চিপ মেরে জালে জড়ান এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আর ৬১তম মিনিটে নিজেই গোল দেন তাদিচ। ডিবক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ সার্বিয়ান। কার্যত তখনই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ে রিয়াল। 

এল’ইকুইপির ১০/১০ রেটিং পয়েন্ট পাওয়া খেলোয়াড় তালিকা

১) ফ্রাঙ্ক সাউজি (ফ্রান্স বনাম গ্রিস, ১৯৮৮)

২) ব্রুনো মারতিনি (ফ্রান্স বনাম গ্রিস, ১৯৮৮)

৩) ওলেগ সালেঙ্কো (রাশিয়া বনাম ক্যামেরুন, ১৯৯৪)

৪) লারস উইন্ডফিল্ড (আরহাস বনাম নঁতে ১৯৯৭)

৫) লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা বনাম আর্সেনাল ২০১০)

৬) লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা বনাম বায়ার্ন লিভারকুসেন, ২০১২)

৭) রবার্ট লেভানডস্কি (বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড বনাম রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৩)

৮) কার্লোস ইদুয়ার্দো (নিস বনাম জিঙ্গাম্প ২০১৪)

৯) নেইমার (পিএসজি বনাম দিওঁ ২০১৮)

১০) তাদিচ (আয়াক্স বনাম রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৯)

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago