‘এমন চারজন বসানো হয়েছে যারা ফুটবল বোঝেই না’
এক প্রকার উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু শেষ সময়ে একটি বিতর্কিত পেনাল্টিই বদলে দিল তাদের ভাগ্য। আর সে পেনাল্টি নিয়ে বিশাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। ভিএআরের দায়িত্বে থাকা চারজন ফুটবল বোঝেন না বলেই তোপ দাগিয়েছেন এ তারকা।
ইনজুরির কারণে আগের দিন মাঠে নামতে পারেননি নেইমার। তবে মাঠে বসেই খেলা দেখেছেন এ তারকা। শেষ দিকে উত্তেজনা সামলাতে না পেরে নেমে এসেছিলেন ডাগআউটে। ভিএআরের সাহায্যে রেফারির দেওয়া সে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। রাগ গোপন না করেই বলেছেন, 'এটা একটা লজ্জার ব্যাপার, ভিএআরে রিপ্লে দেখার দায়িত্বে তারা এমন চারজন মানুষকে রাখল, যারা ফুটবলের কিছুই বোঝেন না।'
ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পিএসজিই। ঠিক তখনই বদলি খেলোয়াড় দিয়োগো দালটের শট ডিবক্সের মধ্যে হাতে লেগে যায় প্রথম লেগের প্রথম গোলদাতা প্রিসনেল কিমপেম্বের। যদিও ইচ্ছাকৃত হাতে লাগাননি তিনি। পেছন দিকে ঘুরে বল ফেরাতে গেলে বল হাতে লেগে দিক বদলে যায়। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে ইউনাইটেডের পক্ষেই বাঁশি বাজান রেফারি। আর সে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নিতে কোনো ভুল করেননি মার্কাস রাশফোর্ড।
মূলত পেছন দিকে ঘুরে যাওয়াও এটাকে হ্যান্ডবল মানতে রাজী নন নেইমার। কারণ ডিবক্সের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বল না লাগালে অথবা গোলের পথে বল না থাকলে হ্যান্ডবল হিসেবে ধরা হয় না। রিপ্লেতে দেখে গিয়েছে বল বারপোস্টের উপর দিয়েই বল চলে যেত। তাই দারুণ খেপেছেন নেইমার, ‘বলটা তাঁর শরীরের পেছনে লেগেছিল, তাহলে সেটা হ্যান্ডবল কীভাবে হয়? খুব বাজে একটা ব্যাপার ঘটেছে। এটা কোনভাবেই পেনাল্টি হয় না।'
সিদ্ধান্তটি মানতে পারছেন না পিএসজি কোচ টমাস টুখেলও, ‘দালোটের শটটা আমি দেখেছি। শট নেওয়ার পর থেকেই এটা ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছিল, নিশ্চিতভাবেই সেটা গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যেত। এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কিছু ব্যাপারে আলোচনা করা উচিত। এটা ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত ছিল। শট যদি অন টার্গেটে না থাকে, তাহলে কোন যুক্তিতে এটা পেনাল্টি দেওয়া হলো সেটাই বুঝতে পারছি না।’
তবে পেনাল্টির সিদ্ধান্তকে যথার্থই মনে করছেন ইউনাইটেড কোন ওলে গানার সুলশার, 'আমি ঘটনাটা বা ভিডিও দেখিনি। আমি আশা করি সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল। আর তারা সেটাই বলেছে, তাই সম্ভবত এটা ঠিকই ছিল।'
Comments