শফিউলের পেসের ঝাঁজের পর রকিবুলের ব্যাটে জিতল মোহামেডান
কাজটা সেরেই রেখেছিলেন শফিউল ইসলাম। পেসের ঝাঁজে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর অনায়াসেই জেতা উচিত ছিল মোহামেডানের। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় উলটো ডুবতে বসেছিল তারা। ভীষণ বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করে স্বস্তি এনেছেন অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেমে শফিউলের তোপে উৎসবের সুযোগ পায় মোহামেডান। গাজীকে ১৮২ রানে গুটিয়ে দিতে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন শফিউল। ওই রান তাড়ায় হারতে হারতে অবশেষে জিতেছে তার দল।
সকালে টস জিতে গাজিকে ব্যাট করতে পাঠায় মোহামেডান। বল হাতে নিয়ে শুরুতেই ইমরুল কায়েসদের টপ অর্ডার তছনছ করে দেন শফিউল। তার তোপে মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে গাজী, যার পাঁচটিই নেন শফিউল।
শফিউল কিছুটা বিরাম নিতে যেন থই খুঁজে পায় গাজী। তৌহিদ তারেকের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শামসুল ইসলাম। এই দুজনের ব্যাটে খাদের কিনার থেকে উঠে দাঁড়ায় গাজী। তৌহিদ ৫৬ রান করে ফিরলেও শামসুল শেষ পর্যন্ত টিকে করেন ৭১ রান।
সহজ লক্ষ্য পেয়ে দলকে ভরসা দেওয়ার মতো শুরু করতে পারেননি আব্দুল মজিদ, অভিষেক মিত্র। দলের ২৫ রানে ফেরেন ১৩ করা মজিদ। সবচেয়ে হতাশ করেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রথম বলেই রুহেল মিয়ার শিকার হন তিনি। তার মতো গোল্ডেন ডাক পান ইরফান শুক্কুরও। বিপুল শর্মা, নাদীফ চৌধুরীরাও আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলে হারতে বসেছিল মোহামেডান। সোহাগ গাজী আর আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে সেই শঙ্কা দূর করেন রকিবুল। দলকে জিতিয়ে ১২৪ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন মোহামেডান অধিনায়ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৫.২ ওভারে ১৮২ (মেহদী ১, ইমরুল ৭, রনি ০, শামসুর ০, পারভেজ ৬, রায়হান ২, তৌহিদ ৫৬, শামসুল ৭১*, আবু হায়দার ২৬, কামরুল ২, রুবেল ০ ; শফিউল ৫/৩২, আলাউদ্দিন ১/২২, সাকলাইন ০/৩৬, গাজী ২/১৭, বিপুল ০/৪৫, আশরাফুল ১/২৮)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৫.২ ওভারে ১৮৩/৭ অভিষেক ২৪, মজিদ ১৩, আশরাফুল ০, রকিবুল ৮২* , ইরফান ০, নাদিফ ১, বিপুল ৯, গাজী ২৯, আলাউদ্দিন ১৪* ; রুবেল ২/৩২, আবু হায়দার ০/৩৭, কামরুল ২/১৯, মেহেদী ০/৩৬, পারভেজ ০/২৭, রাইহান ১/২৫)
ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শফিউল ইসলাম।
Comments