মেসি জাদুতে জয়ের রেকর্ড বার্সেলোনার
নিজের সেরা ফর্মে হয়তো ছিলেন না। কিন্তু তারপরও দারুণ খেলেছেন লিওনেল মেসি। গোল করেছেন। করিয়েছেনও। তার নৈপুণ্যেই রায়া ভায়েকানোর বিপক্ষে টানা ১৩তম জয় পেল ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। যা নিজেদের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট ক্লাবের বিপক্ষে সর্বোচ্চ টানা জয়ের রেকর্ডও বটে। রায়া ভায়েকানোকে এদিন ৩-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান সুদৃঢ় করেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
ন্যু ক্যাম্পে এদিন ম্যাচের একাদশ মিনিটে লিওনেল মেসির ক্রসে স্যামুয়েল উমতিতি মাথা ছোঁয়াতে পারলেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। সাত মিনিট পর কৌতিনহোর কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শট নিয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২০তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ন্যালসন সেমেদোকে নিখুঁত এক পাস দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু কিন্তু সে বল ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি এ পর্তুগিজ।
২৩ মিনিটে মেসির শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিভিস্কি। পরের মিনিটে মেসির পাস থেকে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন কৌতিনহো। ফাঁকায় বল পেয়েও কিন্তু জোরালো শট দিতে না পারলে সে বল সহজেই ধরে ফেলেন ভায়েকানো গোলরক্ষক দিমিত্রিভিস্কি। উল্টো পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করে ভায়েকানোকে এগিয়ে দেন রাউল দি টমাস।
তবে ৩১তম মিনিটেই সে গোল পরিশোধ করতে পারতো বার্সা। মেসির ফ্রি কিক থেকে একে বারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন পিকে। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। পরের মিনিটে মাঝমাঠ থেকে কাটিয়ে ডি বক্সে সুয়ারেজকে দারুণ পাস দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু নিজে শট না নিয়ে ফিরতে পাস দিতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলেন সুয়ারেজ। নষ্ট হয় সে সুযোগ। ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। আগেরবার ভুল করলেও এবার আর ভুল করেননি পিকে। ফ্রি-কিক থেকে নেওয়া মেসির ক্রসে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটেই মেসির সফল স্পট কিক থেকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি বক্সের মধ্যে সেমেদোকে ফাউল করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার জর্দি আমাত। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ৫৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো বার্সা। সতীর্থের পাস দারুণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেসিকে ক্রস দিয়েছিলেন কৌতিনহো। কিন্তু মেসির শট ফিরিয়ে দেন ভায়েকানো গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ভায়েকানো। তবে হোসে পোজোর শট লক্ষ্যে থাকেনি। ৬৮ মিনিটে বিপদজনক জায়গা থেকে পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা। দারুণ শট নিয়েছিলেন মেসিও কিন্তু দেয়াল থেকে পেছনের দিকে গিয়ে সে বলে ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার এমিলিয়ানো ভালাজকুয়েজ। ৭৩ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে কৌতিনহোর উদ্দেশ্যে ভালো ক্রস করেছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু সে বিপদ হওয়ার আগেই তা ফিরিয়ে দেন সান্তিয়াগো কোমেসানা।
পরের মিনিটে সুয়ারেজের শট ফিরিয়ে দেন ভায়েকানো গোলরক্ষক দিমিত্রিভিস্কি। ৭৭তম মিনিটে সুয়ারেজের পাস থেকে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন দেম্বেলে। কিন্তু প্রথম দফায় শট না নিয়ে কিছুটা সময় নিতে গিয়েই গুলিয়ে ফেলেন তিনি। ৮২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। রাকিতিচের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে দারুণ এক গোল দেন সুয়ারেজ। ফলে ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চ্যাম্পিয়নরা।
Comments