ভালো শুরুর পর পথ হারালো বাংলাদেশ
ভেজা আবহাওয়ায় সবুজ গালিচায় ব্যাট করতে গিয়ে না জানি কি হয়! টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ঘিরে এমন শঙ্কা ছিল। কিন্তু অমন উইকেটে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর সাদমান ইসলাম আনলেন দারুণ শুরু। সাদমান ফেরার পর মিডল অর্ডারে ছোট ধস, তবু বুক চিতিয়ে খেলে যাচ্ছিলেন তামিম। লাঞ্চের পর তিনি ফেরাতে উলটোরথে ইনিংস।
ওয়েলিংটনে বৃষ্টির বাগড়া কাটিয়ে তৃতীয় দিনে শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম সেশনে ৩ উইকেটে ১২৭ রান তুলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে তামিমের একারই ছিল ৭২। তামিম ৭৪ করে ফেরার পর ১৬৮ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সকালের ভেজা হাওয়ায় সবুজ উইকেট দিচ্ছিল ভয়। সাদমানকে নিয়ে তামিম সেখানে নেমে প্রথমেই করেন ভয় তাড়িয়ে দেওয়ার কাজ। এক পাশে চালাতে থাকেন তামিম, আরেক পাশে দৃঢ়চেতা হয়ে অবিচল ছিলেন সাদমান। দুই ওপেনার খেলে ফেলেন ২০ ওভার। ৭৫ রানের জুটির পর ছন্দপতন। ৫৩ বলে ২৭ করা সাদমান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের মিডিয়াম পেসে রস টেইলরের হাতে ধরা পড়েন।
ওয়ানডাউনে নেমে মুমিনুল হক শুরুটা পেয়েছিলেন জুতসই। কিন্তু ইনিংস জলাঞ্জলি দিয়েছেন নিল ওয়েগনারকে সামলাতে না পেরে। ১৫ রানে গিয়ে ওয়েগনারের বাউন্সারে কুপোকাত হয়ে একবার রিভিউতে বাঁচলেন, ঠিক পরের বলেই আরেক বাউন্সার ছাড়তে গিয়ে বল লাগিয়ে দেন ব্যাটে। একই অবস্থা মোহাম্মদ মিঠুনেরও। ওয়েগনারের বাউন্সারে রিভিউতে বাঁচার পরের বলেই ছাড়ব না মারব করতে করতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনিও।
তামিম আউট হয়েছে ওয়েগনারের বাউন্সারে টপ এজ হয়ে। পাঁচে নামা সৌম্য সরকার ওয়ানডে মেজাজে খেলতে গিয়ে দেন আত্মাহুতি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহুও শর্ট বলের মেজাজ বুঝতে পারেননি।
Comments