নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেশে ফিরল বাংলাদেশ দল

চেহারায় বিধ্বস্ত ভাব, শরীরে ক্লান্তি কিন্তু মনের উপর ধকলটাই যে সবচেয়ে বেশি মাহমুদউল্লাহকে দেখেই তা টের পাওয়া গেল। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ সন্ত্রাসী হামলার পর অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়ার পর মানসিক ট্রমা সঙ্গে নিয়েই শনিবার রাতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল।
Mahmudullah
দেশে ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চেহারায় বিধ্বস্ত ভাব, শরীরে ক্লান্তি কিন্তু মনের উপর ধকলটাই যে সবচেয়ে বেশি মাহমুদউল্লাহকে দেখেই তা টের পাওয়া গেল। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ সন্ত্রাসী হামলার পর অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়ার পর মানসিক ট্রমা সঙ্গে নিয়েই শনিবার রাতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। 

শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন 
ক্রিকেটাররা। সন্ত্রাসী হামলার কবল থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়ায় বাংলাদেশ দলের এবারের ফেরাটা ছিল ভিন্ন। সেই ভিন্ন ফেরা আরেকটু ভিন্ন হলো বিমানবন্দরে গণমাধ্যম ও সমর্থকদের ভিড়ে। বিমান থেকে নামার পর জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহর অনেক কথা মানুষের কলরবে হারিয়ে গেল। তবে যা পাওয়া গেল তাতেই মিলল হাহাকার, তিক্ত সময়ের স্মৃতি। 

মাহমুদউল্লাহ জানান, ভয়ে আতঙ্কে ক্রাইস্টচার্চের শেষ রাত তারা কাটিয়েছেন ঘুমহীন ভাবে। হোটেলে দলের সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করেই পার করেছেন রাত, 'আপনারা জানেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু ওইদিন রাতে আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি। তারপর তো সকালে উঠে তৈরি হয়ে দেশের বিমান ধরলাম।'

নিউজিল্যান্ডে তিন ওয়ানডে আর তিন টেস্ট খেলতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ আর প্রথম দুই টেস্ট হারের পর ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্ট ভালো কোন স্মৃতি নিয়ে শেষ করার আশায় ছিল দল। কিন্তু মাঠে নেমে ভালো স্মৃতি আনা দূরে থাক। বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে এমন এক ভয়ার্ত স্মৃতি, যা হয়ত ক্রিকেটারদের তাড়া করবে আরও অনেকদিন। 

শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ৪৯ জনের নিহতের খবর দেয় সেখানকার প্রশাসন। ওই দুই মসজিদের একটিতে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। গোলাগুলির খবর পেয়ে কোন রকমে নিজেদের রক্ষা করে সেখান থেকে সরে আসেন তারা। 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago