প্রতিপক্ষ সমর্থকদের এমন অভিবাদনে বিস্মিত মেসিও

‘মেসি, মেসি’ স্লোগানের মুখরিত পুরো স্টেডিয়াম। ন্যু ক্যাম্পে এমন দৃশ্য তো আর অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ম্যাচটি হচ্ছিল রিয়াল বেতিসের স্টেডিয়ামে বেনিতো ভিয়ামারিনে। প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরাই ‘মেসি, মেসি’ ধ্বনিতে চিৎকার করেছেন। এমনকি দাঁড়িয়ে অভিবাদনও জানিয়েছেন। যা এর আগে কখনোই দেখেননি বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
ছবি: এএফপি

‘মেসি, মেসি’ স্লোগানের মুখরিত পুরো স্টেডিয়াম। ন্যু ক্যাম্পে এমন দৃশ্য তো আর অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ম্যাচটি হচ্ছিল রিয়াল বেতিসের স্টেডিয়ামে বেনিতো ভিয়ামারিনে। প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরাই ‘মেসি, মেসি’ ধ্বনিতে চিৎকার করেছেন। এমনকি দাঁড়িয়ে অভিবাদনও জানিয়েছেন। যা এর আগে কখনোই দেখেননি বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

আগের দিন মেসির দুর্দান্ত নৈপুণ্যেই জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। অথচ পুরো ম্যাচে বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলেছে বেতিস। দারুণ কিছু সুযোগও সৃষ্টি করেছিল। মাত্র ৪৩.৯ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে ছিল কাতালানদের। যা ২০০৪-০৫ সালের পর সর্বনিম্ন বল দখলের রেকর্ড দলটির। কিন্তু ম্যাচটি ঠিকই জিতে নিয়েছে ৪-১ গোলে। দারুণ এক হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি।

ফ্রিকিক থেকে বুলেট শটে প্রথম গোল পান মেসি। দ্বিতীয় গোলেও রয়েছে শিল্পের ছোঁয়া। আর তৃতীয় গোলটি তো অবিশ্বাস্য। প্রায় ১৮ গজ দূর থেকে আলতো চিপে গোলরক্ষককে বোকা বানান মেসি। আর তাতেই মুগ্ধ বেটিস সমর্থকরা। মেসি, মেসি রবে মাতিয়েছে স্টেডিয়াম। যা দেখে মুগ্ধ মেসিও, ‘আমি খুবই কৃতজ্ঞ। এমনটা আমার ক্ষেত্রে কখনোই হয়নি। আমরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও তারা সবসময় আমাদের দারুণ সমাদর করে।’

বেটিসের বিপক্ষে জয়ে শিরোপার অনেক কাছে চলে গিয়েছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে এখন তাদের পার্থক্য ১০ পয়েন্ট। তাতেও দারুণ খুশী বার্সা অধিনায়ক, ‘এটা আমাদের জন্য দারুণ একটি জয়। গোলগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি পয়েন্ট। আমরা ভালো সুযোগ নিয়ে এগিয়ে গিয়েছি। তারা বল পায়ে রেখে দারুণ খেলেছে। তবে সৌভাগ্যবশত আমরা এক মুহূর্তও সংগ্রাম করিনি। আমরা খুব সংগঠিত ছিলাম। মাঝে মধ্যে আমাদের প্রতিপক্ষ অনুযায়ী নিজেদের স্টাইলে মানিয়ে নিতে হয়। ম্যাচের বিশেষ মুহূর্তে আমাদের সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago