জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে গৃহবধূ নির্যাতন

চাঁদপুররে শাহরাস্তিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূকে গাছরে সাথে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

চাঁদপুররে শাহরাস্তিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূকে গাছরে সাথে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

গত রোববার উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মোল্লা বাড়িতে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনরা পালিয়ে গেছে।

জানা যায়, ওই গ্রামের মোল্লা বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে মিজানুর রহমান ও মো. সুমন তাদের বাড়ির জমিতে বেড়া দিতে গেলে একই বাড়ির শহিদুল্লাহর স্ত্রী তাদের বাধা দেন। এতে মিজানুর ও সুমনের সঙ্গে তর্কের এক পর্যায়ে মিজানুর ও সুমনের স্ত্রী ওই গৃহবধূকে মারধর করতে থাকে। তাকে বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে বেঁধে মোবাইল ও টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে বেদম মারধর করে। পুরো ঘটনাটি পাশের বাড়ির একজন ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

আহত গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামীর জমিতে বেড়া দিতে আসলে আমি তাদের বাধা দেই। এতে তারা  ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মোবাইল ও টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাছের বেঁধে নির্যাতন করে।

খবর পেয়ে সেদিনই শাহরাস্তি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নির্যাতিতার স্বামী শহিদুল্লাহ বলেন, মিজান ও সুমন আমার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে মোবাইল ও টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে। এই বর্বরোচিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

শাহরাস্তি থানার ওসি মো. শাহআলম বলনে, এই নির্যাতনের ঘটনা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা না করে আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত থেকে নির্দেশ এলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago