২০৩০ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হতে চায় আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও চিলি
প্রথম বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ২০১৭ সালেই। গতবছর তাদের সঙ্গে যৌথ আয়োজক হওয়ার আগ্রহ দেখায় প্যারাগুয়েও। আর চলতি বছর তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চিলিও। ল্যাটিন আমেরিকার এ চার দেশ ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বুধবার বুয়েন্স আইরেসে চার দেশের প্রেসিডেন্টদের সভা শেষে বিষয়টি আরও একবার জানিয়েছে তারা।
আগামী ২০৩০ সালে ১০০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের। আর এ কারণেই প্রথম বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট বিশ্বকাপ ঘরে ফেরাতে চাইছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য স্থানীয় কমিটি তৈরির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন চার দেশের প্রেসিডেন্ট। আগামী ৮ এপ্রিল বুয়েন্স আইরেসেই পরবর্তী সভায় বসবে তারা। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে ওপেনিং ম্যাচ, দুটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কোন দেশের কোন ভেন্যুতে।
কনমেবোলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিনগুয়েজের সঙ্গেও কথা বলেছেন চার দেশের প্রেসিডেন্ট। সভা শেষে বিষয়টি জানিয়েছেন কনমেবোলের সভাপতি। এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, টুইটারে জানান, ‘২০৩০ সালের বিশ্বকাপে যৌথ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনা কাজে লাগাতে চাই। আমরা আশা করি প্রতিযোগিতাটি সেখানে ফিরে আসবে যেখান থেকে শুরু হয়েছিল।'
২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার দৌড়ে ল্যাটিন আমেরিকার এই চারটি দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশ। আফ্রিকা থেকে এককভাবে মরক্কো এবং ইউরোপ থেকে যৌথ আয়োজকের মর্যাদা পেতে লড়বে গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড। এছাড়া বুলগেরিয়া, গ্রিস, রোমানিয়া ও সার্বিয়াও যৌথভাবে আয়োজক হতে চাচ্ছে।
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল উরুগুয়েতে। সেবার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিকরা। ১৯৬২ সালে চিলিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ। আর ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করে এবং প্রথম শিরোপার স্বাদও পায়। তবে প্যারাগুয়ে এখনও বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে পারেনি।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে কাতারে। পরের আসরের যৌথ আয়োজক কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো।
Comments