পদ্মা সেতুর নবম স্প্যান বসছে শুক্রবার
ক্রেনবাহী জাহাজের নোঙ্গর জটিলতায় আজ (২১ মার্চ) পদ্মা সেতুর নবম স্প্যানটি বসানো যায়নি। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকালে স্প্যানটি ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর পিলারে বসানোর কাজ শুরু করতে গিয়ে নোঙ্গরের সমস্যা ধরা পরে।
দায়িত্বশীলরা জানান, গতকালের ঝড়ের কারণে বিশাল জাহাজ ‘তিয়ান ই’র অ্যাংকরের একটি তার ছিঁড়ে যায়। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক আবার জাহাজটির যথাযথভাবে নোঙ্গর করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তবে নানা কারণে নতুনভাবে নোঙ্গরে সময় বেশি লেগে যাচ্ছে।
নতুনভাবে নোঙ্গর করতে গিয়ে বিকাল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন দায়িত্বশীলরা। এতে স্প্যানটি বসানোর পরবর্তী কাজে আর অনেক সময় প্রয়োজন। কিন্তু, পর্যাপ্ত সূর্যের পর্যাপ্ত আলো তখন আর থাকবে না। সে কারণেই শিডিউল পরিবর্তন করে আগামীকাল (২২ মার্চ) করা হয়েছে।
দায়িত্বশীল একজন প্রকৌশলী বলেন, “নতুনভাবে স্প্যানবাহী বিশাল জাহাজাটি অ্যাংকরিং করা হবে। যাতে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু করা যায়।” তিনি জানান, ৩৫ নম্বর খুঁটির সাথে লিফটিং ফ্রেম (স্প্যান ঝুলিয়ে রাখার যন্ত্র)-সহ সবই ঠিক ছিলো। শুধুমাত্র নোঙ্গর সমস্যার কারণেই স্প্যান স্থাপন করা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট আরেকজন প্রকৌশলী জানান, ক্রেনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং জাহাজটি নড়াচড়া যাতে না করে সেজন্য তার (রোপ) দিয়ে সামনে পেছনে মিলিয়ে আটটি তার আটকানো ছিলো। এরপর ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় নোঙর করে রাখা তার (রোপ) ছিঁড়ে যায়। এছাড়াও নদীতে পর্যাপ্ত গভীরতা না থাকায়ও কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য শুক্রবার সকাল থেকে স্প্যান বসানোর কাজটি শুরু হবে।
সেতু সূত্রে জানা গেছে, সেতুর মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ২১টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ইতোমধ্যেই জাজিরা প্রান্তে সাতটি এবং মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। যদিও মাওয়া প্রান্তের স্প্যানটি বসানো রয়েছে ৪ এবং ৫ নম্বর খুঁটিতে। এটি পরবর্তীতে সরিয়ে নেওয়া হবে ৬ ও নম্বর খুঁটিতে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ পিলারে সাতটি ¯প্যান বসানো হয়েছে।
Comments