পোস্টার অপসারণে নেমেছেন কুলাউড়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিজের নির্বাচনী পোস্টার সরিয়ে ফেলতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফি আহমদ সলমান। একইসঙ্গে তিনি নিজেই তার পলিথিন মোড়ানো পোস্টার অপসারণে নেমে পড়েছেন।
এবার প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেই কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সলমান। গতকাল দুপুরে কুলাউড়া শহরের সিএনজি পাম্প এলাকার সড়ক থেকে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা নিজের পোস্টার অপসারণের কাজ শুরু করেন তিনি।
শহরের বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, “নির্বাচনী পোস্টারগুলো নগরের স্বাভাবিক পরিচ্ছন্নতাকে বিনষ্ট করছে। এছাড়া সেগুলো ড্রেনের ভেতরে আটকে গিয়ে স্বাভাবিক সুয়ারেজ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সে হিসেবে উদ্যোগটিকে ভালোই বলা যায়।”
সাপ্তাহিক কুলাউড়ার ডাক এর বার্তা সম্পাদক এম মছব্বির আলী বলেন, “শহরের অনেক জায়গায় প্রার্থীদের পোস্টারগুলো এখনো লাগানো রয়েছে। সব প্রার্থী মিলে তাদের পোস্টারগুলো যদি খুলে ফেলতো, তাহলে ভালোই লাগতো।”
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “পলিথিন ব্যবহারের ফলে ড্রেন, নালা-নর্দমা, খাল, ঝিল ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বাংলাদেশে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার আরও বাড়বে যদি এর লাগাম টেনে ধরা না হয়। তখন পরিবেশ আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”
নির্বাচনের সময় পোস্টার মোড়ানোর কাজে ব্যবহারের জন্য পলিথিনের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে, যা পরিবেশের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর। পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়টি নির্বাচনী নীতিমালায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন পরিবেশবাদী।
উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফি আহমদ সলমান বলেন, “সমৃদ্ধ ও সুন্দর উপজেলা গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখন যেহেতু নির্বাচন শেষ, তাই আমি নিজেই আমার কর্মীদের নিয়ে এসব পোস্টার অপসারণের কাজ করছি। আমি আমার পোস্টার খুলছি। সব প্রার্থীদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারাও যেন তাদের পোস্টার খুলে ফেলে।”
Comments