‘স্বপ্নের বিশ্বকাপ’ খেলতে অনেক ছাড় দিতেও রাজি তাসকিন

বিপিএলের দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ফিরে এসেছিলেন জাতীয় দলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাসকিন আহমেদকে মাঠে নামতে দেয়নি। বিপিএলেরই শেষ ম্যাচে অদ্ভুতুড়েভাবে চোটে পড়ে ছিটকে যান মাঠের বাইরে। নিউজিল্যান্ড সফরে যেতে না পারায় ফিকে হতে থাকে বিশ্বকাপের আশাও। তবে এবার চোট থেকে সেরে উঠে জিইয়ে রাখছেন আশা। তাড়াহুড়ো করে মাঠে নেমে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ঝুঁকি এলেও বিশ্বকাপটাই তার কাছে মূল অগ্রাধিকার।
তাসকিন আহমেদ। স্টার ফাইল ছবি

বিপিএলের দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ফিরে এসেছিলেন জাতীয় দলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাসকিন আহমেদকে মাঠে নামতে দেয়নি। বিপিএলেরই শেষ ম্যাচে অদ্ভুতুড়েভাবে চোটে পড়ে ছিটকে যান মাঠের বাইরে। নিউজিল্যান্ড সফরে যেতে না পারায় ফিকে হতে থাকে বিশ্বকাপের আশাও। তবে এবার চোট থেকে সেরে উঠে জিইয়ে রাখছেন আশা। তাড়াহুড়ো করে মাঠে নেমে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ঝুঁকি এলেও বিশ্বকাপটাই তার কাছে মূল অগ্রাধিকার।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে শেষ ম্যাচে নিশ্চিত ছক্কা অকারণে আটকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে লুটিয়ে পড়েন তাসকিন। গোড়ালির চোটে পরে ছিটকে যান নিউজিল্যান্ড সিরিজের ওয়ানডে ও টেস্ট দল থেকে।

সেই চোটে তাকে ক্র্যাচে ভর করেও হাঁটতে হয়েছিল। তবে মাস দেড়েকের পুনর্বাসনে এখন অনেকটাই সুস্থ তাসকিন। শুরু করে দিয়েছেন রানিং। দৌড়াতে স্বস্তিবোধ করলে শুরু করবেন বোলিং। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিটনেস ট্রেনিং করতে এসে নিজের অবস্থার  উন্নতি জানালেন এই পেসার,  ‘আল্লাহ রহমতে এখন অবস্থা ভালো। আজকে আমার দ্বিতীয় রানিং সেশন হবে। আশা করি এভাবে স্মুথলি চলতে থাকলে দ্রুত বোলিংও শুরু হবে আস্তে আস্তে। রানিং এর ইন্টেনসিটি বাড়ছে। এখনো কোন ব্যথা নেই।  এভাবে স্মুথলি চলতে থাকলে খুব দ্রুতই বোলিং শুরু করা যাবে।’

চিকিৎসকের পরামর্শে চলতি মাসেই বোলিং শুরু করার কথা তার। আশায় আছেন খেলবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। তবে এসব কিছুই তাসকিন ভাবছেন বিশ্বকাপ ঘিরে। বিশ্বকাপে জায়গা পেতে তাই দ্রুত মাঠে ফিরতে মরিয়া তিনি। এতে কিছুটা তাড়াহুড়ো হয়ে ভবিষ্যৎ ঝুঁকি হলেও বিশ্বকাপকেই প্রাধান্য  দিতে চান বলে জানিয়েছেন অকপটে, সত্যিকথা বলতে আমি বিশ্বকাপকে প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ বিশ্বকাপ আমার স্বপ্ন। আমি জানি না কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে কি হবে। অত লম্বা চিন্তা করছি না। আমি মূল প্রাধান্য  দিচ্ছি শতভাগ ফিট হয়ে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া।’

২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম সারথি ছিলেন তাসকিন। চারবছর পর আরেকটি বিশ্বকাপে কোনভাবেই দর্শক হিসেবে দেখতে চান না তিনি, ‘আমি ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছি। বিশ্বকাপে খেলার শান্তিটাই অন্যরকম। এখনো মনে পড়লে বিশ্বকাপের স্মৃতি গুলো খুবই ভালো লাগে। ২০১৯ সালে আরেকটা বিশ্বকাপ আসছে। সবার কাছে আমি দোয়া চাইব সুস্থ থেকে বিশ্বকাপে যাওয়া ও ভালো করার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ভালো করতে পারলে, সেটা অন্যরকম ফিলিং হবে, এটা বলে বোঝানো যাবে না।’

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

7h ago