‘প্রভোস্ট কমিটির বক্তব্যে দলীয় আনুগত্য প্রকাশ হয়েছে’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী আট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রভোস্ট কমিটি যে দাবি জানিয়েছিল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী আট শিক্ষক যা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তাদের সেই কাজের অনুমোদন দেয়। বরং শিক্ষকদের শাস্তি দাবি করার মাধ্যমে হল প্রাধ্যক্ষরা তাদের দলীয় আনুগত্যের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা আজ শনিবার বিকেলে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।
১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে স্বেচ্ছায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আটজন শিক্ষক। সেদিন সন্ধ্যায় মূল্যায়নের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমকে তারা বলেছিলেন, নির্বাচন সর্বাঙ্গীণ সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনাগুলো শিক্ষক সম্প্রদায়ের নৈতিকতার মানদণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা নির্বাচন স্থগিত করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন।
এর পরই আট শিক্ষকের এই তৎপরতাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষদের সমন্বয়ে গঠিত প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবী পর্যবেক্ষক দল নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অননুমোদিতভাবে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ ও প্রচারমাধ্যমে নির্বাচন সম্পর্কে অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। তারা ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যের প্রতি দাবি জানান।
এ বিষয়ে ৫০ শিক্ষকের বক্তব্য এখানে তুলে দেওয়া হলো:
১৯৭৩ এর আদেশের বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষকের প্রক্টোরিয়াল ক্ষমতা আছে এবং তা তিনি প্রয়োগ করার অধিকার রাখেন। কাজেই আট শিক্ষকের পর্যবেক্ষণের অধিকার আছে এবং জনগণকে তা জানাবার অধিকারও আছে। এছাড়া চিফ রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে তারা পর্যবেক্ষণের মৌখিক অনুমতিও পেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তারা অননুমোদিত কোনো কাজ করেননি।
দ্বিতীয়ত, যারা ভোট চুরি করলো এবং চুরি করতে সাহায্য করল তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শিক্ষকদের ভাবমূর্তির যে ক্ষতি করলেন তা পঞ্চাশ বছর পরেও জাতি মনে রাখবে। কাজেই আট শিক্ষক পর্যবেক্ষণ করে ভাবমূর্তি নষ্ট করেননি, ভাবমূর্তি আগেই নষ্ট হয়েছিল। অনিয়মের কথা গণমাধ্যমে জানিয়ে তারা বরং ক্ষতিপূরণে প্রশাসনের পক্ষেই কাজ করেছিলেন। তাদের পর্যবেক্ষণ আমলে নিলে পরবর্তী সময়ে প্রশাসনেরই লাভ হতো, সম্মান কিছুটা ফিরতো।
তৃতীয়ত, অনিয়ম যারা করলেন ও প্রশ্রয় দিলেন সেসব শিক্ষকদের ব্যাপারে কী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবেন সেব্যাপারে একটি বাক্যও লেখা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হলো তাদের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে যারা অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছেন, সত্যানুসন্ধানের শেষে সে সত্যকে মানুষের কাছে নিয়ে এসেছেন, তাদের শাস্তির দাবি করলেন প্রভোস্ট কমিটি। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার জন্য এই আট শিক্ষক তথা নিজেদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে এরকম দাবি তোলার মধ্য দিয়ে প্রভোস্ট কমিটি তাদের ব্যক্তিস্বার্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেন্দ্রিক দলীয় আনুগত্যকে আরও নগ্ন ভাবে প্রকাশ করলেন। এ প্রভোস্টদেরই অনেকে নির্বাচনের দিন তাদের হলে হলে অনিয়ম বন্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এটা স্পষ্ট যে একারণেই যারা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিতে চান! এতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের বিষয়টা জনপরিসরে আরও স্পষ্ট হয়েছে। আমরা মনে করি এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও এর বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। ক্ষমতার দম্ভ থেকে করা এহেন আচরণ, ক্ষমতাসীন শিক্ষকদের কেবল পরাজিতই করে।
চতুর্থত, আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এমনকি প্রভোস্টরা এও দাবি করলেন যে তাদের কাছে কোন শিক্ষার্থী ভোট দিতে না পারা নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অথচ গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি যে নির্বাচনের দিনই চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঁচটি প্যানেলের শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। এমনকি ১৮ মার্চ উপ-উপাচার্যের কাছে অভিযোগ দিয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। অথচ একই দিনে অনুষ্ঠিত প্রভোস্টদের সভায় দাবি করা হলো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি!
স্বতঃপ্রণোদিত স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া শিক্ষকদের শাস্তি দাবি করে এই প্রভোস্টরা নিজেদের নৈতিক দেউলিয়াপনা ও ভিন্নমতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। তাদের মানতে হবে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্নমত সবসমই ছিল ও থাকবে, এবং এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য। ভিন্নমতের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে হুমকি দিয়েছেন তার জন্য তাদের ধিক্কার জানাই। অবিলম্বে প্রশাসন এ আটজন শিক্ষকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবে সেই দাবি জানাচ্ছি। তা নাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নৈতিক পরাজয়ের জের বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বহু বছর টানতে হবে।
বিবৃতিতে ইমেইলে/ফেসবুক মারফত সহমত প্রকাশকারীরা হলেন -
১। নেহাল করিম, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২। আনু মুহাম্মাদ, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩। তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪। মাইদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫। সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬। নাসির উদ্দিন আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
৭। মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮। আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৯। সায়মা আলম, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১০। কাজী মামুন হায়দার, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১১। কাজলী সেহরীন ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক,গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২। মুনাসির কামাল, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩। শামসুল আরেফিন, প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪। সুবর্না মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫। মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৬। সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৭। সাদাফ নূর, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৮। মাসুদ ইমরান মান্নু, সহযোগী অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৯। নাসরিন খন্দকার, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২০। খাদিজা মিতু, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২১। জাভেদ কায়সার, সহকারী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শাবিপ্রবি!
২২। রায়হান শরীফ, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২৩। সৌম্য সরকার, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
২৪। ওয়াকিলুর রহমান, অধ্যাপক, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
২৫। নাফীসা তানযীম, সহকারী অধ্যাপক, গ্লোবাল স্টাডিজ, উইমেন্স, জেন্ডারঅ্যান্ড সেক্সুয়ালিটি বিভাগ, লেসলি বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র।
২৬। কাজী শেখ ফরিদ, সহযোগী অধ্যাপক, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
২৭। মাহমুদুল সুমন, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২৮। হিয়া ইসলাম, প্রভাষক, মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারাল আর্টস, বাংলাদেশ (ইউল্যাব)
২৯। আলী রিয়াজ, ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র
৩০। আকমল হোসেন, সাবেক অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩১। খন্দকার হালিমা আক্তার রিবন, সহযোগী অধ্যাপক, নাট্য ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩২। পারভীন জলী, সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
৩৩। ড. মাহমুদ হোসেইন, সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
৩৪। লুৎফুন হোসেন, সাবেক শিক্ষক, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫। দীপ্তি দত্ত, প্রভাষক, প্রাচ্যকলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৬। অভিন্যু কিবরিয়া ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, অনুজীববিজ্ঞান বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৩৭। অর্পিতা শামস মিজান, প্রভাষক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৮। আইনুন নাহার, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩৯। মোশরেকা অদিতি হক, সহকারী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৪০। মোশাহিদা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৪১। রায়হান রাইন , সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪২। অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪৩। রোবায়েত ফেরদোউস, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৪। ড. তৈয়েবুর রহমান, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৫। ড আব্দুর রাজ্জাক খান, সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৬। সিউতি সবুর, সহযোগী অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
৪৭। গোলাম হোসেন হাবীব, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪৮। হিমেল বরকত, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪৯। স্বাধীন সেন, অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৫০। কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Comments