চির শয়ানে শাহনাজ রহমতউল্লাহ

আজ (২৪ মার্চ) দুপুরে জোহর নামাজের পর বারিধারার পার্কভিউ মসজিদে প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহর জানাজা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয় বনানীর সম্মিলিত সামরিক গোরস্থানে।
Shahnaz Rahmatullah
শাহনাজ রহমতউল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আজ (২৪ মার্চ) দুপুরে জোহর নামাজের পর বারিধারার পার্কভিউ মসজিদে প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহর জানাজা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয় বনানীর সম্মিলিত সামরিক গোরস্থানে।

প্রয়াতের স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানান।

গতরাত (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ৬৭ বছর বয়সে এই গানের পাখি চলে যান না ফেরার দেশে। রেখে গেলেন, স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী।

১৯৫২ সালে ঢাকায় জন্ম নেওয়া শাহনাজের পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা শুরু হয় মাত্র ১১ বছর বয়সে। ১৯৬৩ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় হয় কর্মময় জীবন। এর পরের বছর এই শিল্পীকে দেখা যায় টেলিভিশনে।

আধুনিক বাংলা গানের এই বরণ্য শিল্পী ছোটবেলায় লাভ করেন শ্রোতাপ্রিয়তা।

‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে,’ ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে,’ ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে‌ এবার বল’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘পারি না ভুলে যেতে’-সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী ছিলেন শাহনাজ।

শ্রোতাদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে বিবিসি বাংলার এক জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজের চারটি গান স্থান পেয়েছিলো। গানগুলো হলো খান আতাউর রহমানের কথা ও সুরে ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথা ও আনোয়ার পারভেজের সুরে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’ এবং ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’।

১৯৯২ সালে একুশে পদক প্রাপ্ত এই শিল্পী তার ক্যারিয়ার শেষ করার ঘোষণা দেন তার পেশাগতজীবনের ৫০তম বছরে। সেসময় ‘বাদল দিনের পাখি’ শিরোনামের গানের অ্যালবামে তিনটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি।

আরও পড়ুন:

‘শাহনাজকে নীরবে-নিভৃতে চলে যেতে হবে এটা ভাবতে খুব খারাপ লাগে’

চলে গেলেন গানের পাখি শাহনাজ রহমতউল্লাহ

Comments

The Daily Star  | English

Mob justice is just murder

Sadly, when one lynching can be said to be more barbaric than another, it can only indicate the level of depravity of some our university students

16m ago