‘সেই ডিম জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে’

Egg Boy
টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ‘ডিম বালক’ হিসেবে বহুল পরিচিত ১৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক উইল কনোলি। ছবি: ভিডিওচিত্র থেকে নেওয়া

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের এক সিনেটরের মাথায় ডিম ফাটিয়ে সারাবিশ্বে আলোচিত হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী উইল কনোলি। সেই ঘটনার পর মেলবোর্নের সেই অধিবাসী পেয়েছিলেন ‘ডিম বালকের’ খেতাব।

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারীর গুলিতে ৫০ জন নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উগ্র-ডানপন্থি রাজনীতিক ও কুইন্সল্যান্ডের সিনেটর ফ্র্যাসার অ্যানিং অভিবাসীদেরকেই দোষী বানিয়ে দেন।

পরদিন (১৬ মার্চ) মেলবোর্নে এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে কনোলির হাতে ‘ডিম হামলার’ শিকার হন সেই সিনেটর।

ঘটনার নয়দিন পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে কথা বললেন নায়ক-খ্যাতি পাওয়া সেই ‘ডিম বালক’। অস্ট্রেলিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল টেন’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বুঝেছি যে আমি যা করেছি তা ঠিক হয়নি। তবে যাই হোক, সেই ডিম জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।”

“কাউকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার কোনো কারণ নেই,” উল্লেখ করে ‘ডিম বালকের’ মন্তব্য, “আমি (সিনেটরের বক্তব্যের) প্রতিবাদ করেছি বলে মা খুশি হয়েছেন। কিন্তু, যেভাবে প্রতিবাদ করেছি তা তিনি মেনে নেননি।”

সাক্ষাৎকারটিতে কনোলি নিজেকে ‘মানবতাবাদী’ হিসেবে তুলে ধরেন। রাজনীতির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান। আরও জানান, ডিম ফাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সেই সিনেটরের বক্তব্য এক ঘণ্টা ধরে শুনেছিলেন।

কনোলি বলেন, “আমি ভাবিনি তিনি (সিনেটর) এভাবে আমার দিকে তেড়ে আসবেন। আমি ভেবেছিলাম সেখান থেকে হেঁটে হেঁটেই সটকে পড়বো। ভাবতেও পারিনি ঘটনাটি এতো আলোড়ন সৃষ্টি করবে।”

“ভেবেছিলাম আমার এই ঘটনা দেখে বন্ধুরা হাসাহাসি করবে। কিন্তু, ঘটনাটি এতোই বিব্রতকর ছিলো যে সবাই মসজিদে হামলার ঘটনাটির চেয়ে এ দিকেই বেশি মনোযোগ দিলো। আসলে আমাদের উচিত মসজিদে হামলার শিকার ব্যক্তিদের দিকে বেশ মনোযোগ দেওয়া,” যোগ করেন সেই ‘ডিম বালক’।

আরও পড়ুন:

নিউজিল্যান্ডের হামলা নিয়ে মন্তব্য করায় তোপের মুখে অস্ট্রেলীয় সিনেটর

অস্ট্রেলিয়ায় ‘ডিম যুদ্ধ’!

ক্রাইস্টচার্চ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ দিয়ে পাশে দাঁড়াবে ‘ডিম বালক’

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

1h ago