তানজিদের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে উড়িয়ে দিল উত্তরা
নামেভারে অনেকখানি এগিয়ে ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অভিজ্ঞ আর তারকারা ছিলেন। তুলনায় উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবে তারুণ্যের মিছিল। সেই মিছিলে একদম বিবর্ণ হয়ে উড়ে গেল মোহামেডান। মোহামেডানকে হারাতে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছেন যুবদলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
বিকেএসপি শনিবার মোহামেডান ম্যাচটা খুইয়েছে আসলে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। আগে ব্যাট করে মাত্র ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ওই রান তুলতে কোন রকম সংশয়ে পড়েনি উত্তরা। ১০ ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে তারা। এই নিয়ে লিগে দ্বিতীয় জয় পেল এবার প্রিমিয়ারে উঠে আসা দলটি। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ জিতে লিগ শুরুর পর টানা চতুর্থ হার দেখল মোহামেডান।
১৯৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় আনিসুল ইসলাম ইমনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৮৪ রান তুলেন তানজিদ। ৩৭ করা ইমন আউট হলে দ্রুত ফেরেন ওয়ানডাউনে নামা জনি তালুকদারও। কিন্তু অধিনায়ক মোহাইমিনুল খানকে নিয়ে নিরাপদেই এগিয়ে যান তানজিদ। এবারের লিগে শুরু থেকে দারুণ খেলা এই ব্যাটসম্যান আর কোন সংশয়ে পড়তে দেননি দলকে।
শেষ দিকে নিজে সেঞ্চুরি পাবেন কিনা তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। কিন্তু দলের জয় আর তার প্রথম লিস্ট-এ সেঞ্চুরি এক সুতোয় বেধে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
সকালে মোহামেডানকে ব্যাট করতে দিয়েই চেপে ধরে উত্তরা। লিটন দাসকে না পাওয়ায় এদিন মোহামেডানের টপ অর্ডারও ছিল নড়বড়ে। অভিষেক মিত্র, আব্দুল মজিদ, ইরফান শুক্কুর, রকিবুল হাসানরা ফিরে যান ৬৯ রানের মধ্যে। পরে নাদীফ চৌধুরী আর মোহাম্মদ আশরাফুল ধরেছিলেন হাল। নাদীদের ব্যাট কিছুটা চনমনে থাকলেও শম্বুক গতিতে জমে যান আশরাফুল।
অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৫৮ বল খেলে দৌঁড় থামান ২৮ রান করে। ৫৫ বলে ৩৯ করে থামেন নাদীফ। শেষ দিকে এদিন চতুরঙ্গ ডি সিলভা, সোহাগ গাজীরা রান না পাওয়ায় শেষটাও ছিল মলিন। উত্তরার বাঁহাতি পেসার আব্দুর রশিদ ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট, ৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আসাদুজ্জামান পায়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান: ৪৫.১ ওভারে ১৯৩ (নাদীফ ৩৯, শফিউল ২৯; রশিদ ৩/৩২, পায়েল ৩/৫৩)
উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব: ৪০ ওভারে ১৯৪/৩ (তানজিদ ১০১*, ইমন ৩৭ ; শাহাদাত ২/৩৫)
ফল: উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তানজিদ হাসান তামিম।
Comments