পাঠাও রাইডারকে মারধর: ট্রাফিক সার্জেন্ট ক্লোজড
রাজধানীর হাতিরঝিল সড়কে একজন পাঠাও রাইডারকে মামলা দেওয়ার পর মারধরের অভিযোগে ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল রানা চৌধুরীকে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা পূর্ব ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান অভিযুক্ত সার্জেন্টকে ক্লোজ করার কথা নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, “মারধরের ভিডিওটি আমি দেখেছি। অসদাচরণের জন্য সার্জেন্ট সোহেল রানা চৌধুরীকে ডিসি (উপ-কমিশনার, ট্রাফিক) অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করা হবে।”
মারধরের শিকার মোটরসাইকেল চালক শাহীন আহমেদের সঙ্গে উপ-কমিশনার কামরুজ্জামান নিজেও ফোনে কথা বলেছেন। অভিযোগের কথা তাকে আগামীকাল লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
সোহেল রানা চৌধুরী ২০১১ সালে ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে যোগদান করেছিলেন। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে যেসব সার্জেন্ট সবচেয়ে বেশি মামলা দিয়েছিলেন তিনি তাদের মধ্যে ছিলেন। এই কাজের কৃতিত্বস্বরূপ পুরস্কৃত হয়েছেন বলে তিনি নিজেই দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে পাঠাও রাইডারকে পুলিশের মারধর
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আজ সোমবার সকালে রামপুরা থেকে হাতিরঝিলে ঢোকার মুখে রাস্তায় এক পাঠাও রাইডারকে তিনি মারধর করেছেন। ভুক্তভোগীর দাবি, তার যাত্রীর মাথায় হেলমেট না থাকায় মামলা দেওয়ার পর চড়াও হন রামপুরা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট সোহেল রানা চৌধুরী।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মারধরের ঘটনাটি উঠে এসেছে।
তবে ট্রাফিক সার্জেন্টের পাল্টা অভিযোগ, শাহীন আহমেদই প্রথমে তাকে গালাগাল ও ধাক্কা দিয়েছিলেন। তাই তিনিও ধাক্কা দেন। ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা পুরো ঘটনার খণ্ডিত অংশ। প্রথমে পুলিশের ওপরই হাত তোলা হয়েছিল। কিন্তু ভিডিওতে তা দেখা যাচ্ছে না।
শাহীন আহমেদ জানান, তিনি মাঝে মাঝে পাঠাওয়ের রাইড দেন। আজও সেই উদ্দেশ্যেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রীর জন্য রাখা হেলমেটটি গতরাতে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় বলেছিলেন, ট্রাফিক সার্জেন্ট দেখলে তিনি যেন ভেজা হেলমেটটি মাথায় দেন। হাতিরঝিলে রাস্তায় ঢোকার মুখেই পুলিশ বক্সে তাকে থামিয়ে সব কাগজপত্র যাচাই করে শুধুমাত্র যাত্রীর মাথায় হেলমেট না থাকার জন্য মামলা দেওয়া হয়।
তার অভিযোগ, “ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া অন্যান্য মোটরসাইকেল চালকদেরও গণহারে মামলা দেওয়া হচ্ছিল। তুচ্ছ কারণে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট গালাগালি করে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ বক্সের ভেতরে ঢুকিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।”
Comments