মিয়ানমারের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাবে না বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছবি: বাসস

মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

“‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়” এই নীতিকেই বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাস করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি এটাই বলবো মিয়ানমার যেহেতু আমাদের প্রতিবেশী। আমরা কখনও তাদের সঙ্গে সংঘাতে যাব না।”

প্রধানমন্ত্রী যিনি একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে রয়েছেন, আজ সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বরং তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের নাগরিকদের তারা যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই প্রচেষ্টাই আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সে বিষয়ে সবাই যেন সেভাবেই দায়িত্ব পালন করেন, সেজন্যও আমি অনুরোধ করবো।”

প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ, যাই হোক না কেন তাকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা বাংলাদেশ রাখে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়াটাও আজকে বিশ্বের অনেকের কাছেই বিস্ময়।”

কেবল মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা মানবিক কারণেই এটা করেছি। নিজেদেরও বলতে গেলে রিফিউজি হিসেবে ’৭৫ এর পরে ছয় বছর বিদেশে অবস্থান করতে হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, নিজের নামটাও আমরা ব্যবহার করতে পারিনি। এরকম দিনও আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শরণার্থীরা ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিজেদেরই অভিজ্ঞতা রয়েছে যে, ১৯৭১ সালে আমাদের এক কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ছিল। তাদেরকে নিয়ে এসে পুনর্বাসন করতে হয়েছে, সেই অভিজ্ঞটাও রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না, আমরা যুদ্ধ করতে চাই না, সবার সঙ্গে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই।”

সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. শামসুল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়াঁ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago