নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার দৃশ্য ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে যা বললেন মার্ক জাকারবার্গ
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে অবশেষে নিজের নীরবতা ভাঙ্গলেন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।
গতকাল (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজের ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠাননে জর্জ স্টিফেনোপোওলসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার দৃশ্য ফেসবুকে ‘সরাসরি সম্প্রচার’ করার প্রসঙ্গটিও চলে আসে।
ফেসবুক থেকে হামলার ভিডিওটি সরিয়ে নিতে এক ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিলো- এ থেকে আপনি কী শিক্ষা নিয়েছেন? বা এই ‘সরাসরি সম্প্রচার’ বন্ধ করতে আর কী কী করা যেতো বলে আপনি মনে করেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে জাকারবার্গ বলেন, “এটি একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ছিলো। আমরা তখনো নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কর্তৃপক্ষে সঙ্গে সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছিলাম। সে বিষয়ে এখনো কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি- একটি হলো: ‘লাইভ’ ভিডিও অন্যটি হলো: সেই ভিডিওটি কপি বিভিন্ন জায়গায় আপলোড করা।”
জাকারবার্গ জানান, মসজিদে হামলার ‘সরাসরি সম্প্রচারটি’ ২০০ বার দেখা হয়েছিলো। কিন্তু, অধিকাংশ মানুষই সেটি দেখেছেন ফেসবুকের বাইরে অন্য প্লাটফর্মে। হামলা চালানোর আগে সেই সন্ত্রাসী তার পরিচিতদের বলেছিলেন বলেই তারা দেখেছিলেন। তবে ভিডিওটির কপি প্রচুর দেখা হয়েছে। কেননা, সেই ভিডিওটি নতুন নতুন সাইটে প্রকাশ করা হয়েছিলো।
এমন পরিস্থিতি রোধ করতে “আমাদেরকে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে যাতে সন্ত্রাসীদের লাইভ স্ট্রিমিং আরও দ্রুত চিহ্নিত করতে পারি। (নিউজিল্যান্ডে) যা ঘটেছে তা ভয়ঙ্কর,” মন্তব্য জাকারবার্গের।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ‘সরাসরি’ সম্প্রচারগুলো একটু পরখ করে নিয়ে তারপর সেগুলো দেখানোর ব্যবস্থা করলে আপত্তিকর বিষয়গুলোর সম্প্রচার রোধ করা যাবে কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “… সবাই জানেন যে অধিকাংশ মানুষ লাইভ স্ট্রিমিং করেন তাদের জন্মদিন বা বন্ধুদের আড্ডার ঘটনাগুলো।… তাই একজন মানুষ শুধু সম্প্রচারই করছে না, তারা মূলত অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি করছেন। তাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে অন্যদের মতামতও নিচ্ছেন। তাই, যদি এ বিষয়ে একটু দেরি করা যায় তাহলে হয়তো আপত্তিকর বিষয়গুলোর সম্প্রচার রোধ করা যাবে।”
Comments