নতুন তারকাদের প্রতি শুভ কামনা

প্রবল বৃষ্টিও থামাতে পারেনি তাদের অদম্য উচ্ছ্বাস। সব বাধা উপেক্ষা করে দেশের এই নতুন তারকারা মেতেছিলেন তাদের সাফল্য উদযাপনে। তারাই যে আগামী দিনের পথ সাজাবে সে প্রত্যয় প্রকাশ পায় গতকাল (৬ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে।
Shining stars
৭ এপ্রিল ২০১৯, রাজধানীর মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে দেশের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে দ্য ডেইলি স্টার। ছবি: রাশেদ সুমন

প্রবল বৃষ্টিও থামাতে পারেনি তাদের অদম্য উচ্ছ্বাস। সব বাধা উপেক্ষা করে দেশের এই নতুন তারকারা মেতেছিলেন তাদের সাফল্য উদযাপনে। তারাই যে আগামী দিনের পথ সাজাবে সে প্রত্যয় প্রকাশ পায় গতকাল (৬ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে।

সারাদেশের ৯৮টি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন যারা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। ‘ও’ লেভেলের ১ হাজার ৮১৩ জন এবং ‘এ’ লেভেলের ৪৪৪ জন- মোট ২,২৫৭ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত কর হয়। পুরস্কৃতদের মধ্যে ৪৯ জন বিভিন্ন বিষয়ে সারাবিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর লাভ করেছেন।

ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে মেডেল এবং সনদপত্র তুলে দেন মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং লাওস শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির এবং দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো স্টেডিয়াম।

সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর মাহফুজ আনাম অতিথিদের স্বাগত জানান। এরপর, পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্যে তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “তোমাদের গর্ববোধ করতে হবে, আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে এবং তোমাদের এই অর্জনকে উদযাপন করতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আজকের এই পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। শুরু থেকেই তোমাদের এ বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “মনে রাখবে, যতোক্ষণ পর্যন্ত আমরা পৃথিবীতে, নিজেদের সমাজে, নিজেদের জীবনে শান্তি আনতে না পারবো, ততোক্ষণ আমাদের এই ভালো শিক্ষা, ভালো ফলাফলে কোনো কাজে আসবে না।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোনিয়া বশির কবির বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ মানুষের বয়স ৩০ বছরের নিচে। এই শিক্ষার্থীরাই এ দেশকে নিম্ন-আয়ের থেকে মধ্য-আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

“এই বয়সে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যাওয়া এবং যা প্রয়োজন তা করা সম্ভব” উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থীদের আত্মমঙ্গলের জন্যে কাজ করার আহ্বান জানান।

তথ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, তথ্যই এখন নতুন মুদ্রা। “তথ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা যাদের মধ্যে রয়েছে বা এ সংক্রান্ত জটিলতার সহজ সমাধান যারা দিতে পারবেন তাদেরই ক্ষমতা রয়েছে পৃথিবী বদলে দেওয়ার।”

সুন্দর সুন্দর ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে যারা ব্যবসা করতে চান তাদেরকে মাইক্রোসফট সহায়তা করতে প্রস্তুত বলেও জানান এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব রিটেল ব্যাংকিং, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, পিয়ারসন ইডেক্সেলের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর রহমান, গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের এমএম মনিরুল ইসলাম এবং শিক্ষাবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এমএসিইএস এর প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার তিনা সালেম মনজুর।

এই আয়োজনে ডেইলি স্টারের সঙ্গে ছিলো ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, পিয়ারসন ইডেক্সেল, গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, এমএসিইএস এবং চ্যানেল আই।

উল্লেখ্য, দ্য ডেইলি স্টার ১৯৯৯ সাল থেকে এই আয়োজনটি করে আসছে।

Comments