রকিবুলের সেঞ্চুরি, ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়ালেন সোহাগ গাজী
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ডুবতে বসেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দারুণ সেঞ্চুরি করে বিপর্যস্ত দলকে টেনে তুলেন রকিবুল হাসান, তাকে যোগ সঙ্গত করেন রজত ভাটিয়া। পরে স্লগ ওভারে ঝড় তুলেন সোহাগ গাজী। সেই গাজী বল হাতেও ছড়ালেন দ্যুতি। তাতে সুপার লিগে যাওয়ার আশা ফের জাগল মোহামেডানের।
বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ বৃষ্টি আইনে মোহামেডান জিতেছে ১৩৩ রানে । আগে ব্যাট করে রকিবুলের ১০২, ভাটিয়ার ৬৬ আর গাজীর ১৪ বলে ৩৩ রানে ২৯৭ করেছিল মোহামেডান। গাজীর অফ স্পিনে ধসে ১৫০ রানে ৯ উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। পরে আলো কমে যাওয়ায় খেলা চালানো না গেলে ডি/এল মেথডে ১৩৩ রানে জিতেছে মোহামেডান। এই জয়ে ১০ ম্যাচের পাঁচটা জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের দৌঁড়ে টিকে রইল ঐতিহ্যবাহী দলটি।
সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ইরফান শুক্কুরকে হারালেও লিটন দাস ছিলেন তেতে। আগ্রাসী মেজাজে খেলে রান বাড়াচ্ছিলেন তিনি। ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৬ করে লিটন ফেরার পর ধস নামে ইনিংসে। ৮৮ রানেই ৫ উইকেট পড়ে যায়। ৬ষ্ঠ উইকেটে ভাটিয়া আর রকিবুল মিলে গড়েন ১৪৬ রানের জুটি। ৬০ বলে ৬৬ করে ফেরেন ভাটিয়া। রকিবুল আউট হন ১০৪ বলে ১০২ রান করে। শেষ দিকে নেমে সোহাগ গাজী ২ চার আর ৩ ছক্কায় ১৪ বলে ৩৩ করলেও বড় সংগ্রহ পায় মোহামেডান।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নাজমুল হোসেন মিলনকে নিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ৪৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পরই তাল হারায় প্রাইম ব্যাংক। একের পর এক উইকেট পতনে আর ম্যাচে থাকেনি তারা। ৭ ওভার বল করে অফ স্পিনে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন গাজী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৯৬/৯ (রকিবুল ১০২, ভাটিয়া ৬৬, গাজী ৩৩; মনির ২/৩৭)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৩৯.১ ওভারে ১৫০/৯ (নাহিদুল ২৮, এনামুল ২৬ ; সোহাগ ৪/২১)
ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ডি/এল মেথডে ১৩৩ রানে জয়ী।
Comments