সঞ্জিতের ঝলক, মোস্তাফিজের দাপট থামাল বৃষ্টি

আগের দুই ম্যাচে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। সঞ্জিত সাহা দ্বীপ টানা তৃতীয় ম্যাচেও দেখালেন বোলিং ঝলক। শাইনপুকুকে ধসিয়ে দিতে এই অফ স্পিনার আবার নিলেন ৪ উইকেট। পরে বৃষ্টির আইনে সুপার লিগে উঠার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতেছেও তার দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
mustafizur rahman
ছবি: বিসিবি

আগের দুই ম্যাচে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। সঞ্জিত সাহা দ্বীপ টানা তৃতীয় ম্যাচেও দেখালেন বোলিং ঝলক। শাইনপুকুকে ধসিয়ে দিতে এই অফ স্পিনার আবার নিলেন ৪ উইকেট। তাকে ছাপিয়ে দিতে জ্বলে উঠেছিলেন চার বছর পর প্রিমিয়ার লিগে নামা মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু মোস্তাফিজের দাপট থামিয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টি আইনে ম্যাচও জিতে নিয়েছে সঞ্জিতের গাজী গ্রুপ। 

মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডের ম্যাচ দফায় দফায় পড়ে বৃষ্টি বাধায়। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া শাইনপুকুর নির্ধারিত ৪৮ ওভারে করে ১৭৭ রান। রান তাড়ায় নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে বিপদে পড়েছিল গাজী গ্রুপ। কিন্তু শামসুর রহমানের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তারা। ২১.৫ ওভারে ১০৬ রান করার পরই ফের নামে বৃষ্টি। আর খেলা মাঠে না গড়ালে ডি/এল মেথডে ২১  রানে জিতেছে গাজী।

এই নিয়ে ১০ ম্যাচের পাঁচটা জিতে ১০ পয়েন্ট হলো তাদের। সুপার লিগে জেতে হলে শেষ ম্যাচে জেতা ছাড়ায় গাজীকে অপেক্ষা করতে হবে অন্যদের ফলের উপর।

৪৮ ওভারে ১৭৮ রান তাড়ায় নামা গাজীর ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। ওয়ালিউল করিমকে ইয়র্কারে এলবিডব্লিও করে ফেরান তিনি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস এসেই মোস্তাফিজকে বাউন্ডারি মেরেছিলেন। কিন্তু টিকতে পারেনি। মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দেন মিডঅফে। আরেক ওপেনার মেহেদী হাসানও মোস্তাফিজের কাটারে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। তবে এই আউট নিয়ে চলে বিতর্ক। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিতে বেশ খানিকটা সময় নেন।

এরপর রনি তালুকদারের রান আউটে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল গাজী। কিন্তু চারে নামা শামসুর রহমান শুভ ছিলেন চনমনে। দারুণ সব বাউন্ডারিতে চাপ সরান তিনি, বাড়িয়ে দেন রানরেট। বৃষ্টি নামার পরও তাই সুবিধাজনক অবস্থায় চলে যায় গাজী।  ৬৫ বলে ৯ চারে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এর আগের পুরো সময় ঝলক দেখান সঞ্জিত। বোলিং অ্যাকশনের কারণে বারবার ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত হয়েছে তার। এবার বিপিএলে কয়েক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে জুতসই নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন। এবার প্রিমিয়ার লিগেও প্রথম থেকে সুযোগ মেলেনি। এই নিয়ে খেললেন তিন ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ৪, পরের ম্যাচে ৩ উইকেটের পর আজ নেন আবার ৪ উইকেট।

সাদমান ইসলাম, অমিত হাসান, তৌহিদ হৃদয় আর আফিফ হোসেনের উইকেট নিয়ে নিজেকে ফের আলোয় আনেন এই তরুণ। পুরো ১০ ওভার বল করে ২৫ রানে নেন ৪ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৪৮ ওভারে ১৭৭/৯ ( সাদমান ৪০, দেলোয়ার ৪০ ; সঞ্জিত ৪/২৫)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ২১.৫ ওভারে ১০৬/৪ (শামসুর ৫৩* ; মোস্তাফিজ ৩/২৩)

ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ডি/এল মেথডে ২১ রানে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago