‘বোরকা পরা ৪ জন গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী বলেছেন, শনিবার পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় যাওয়ার পর বোরকা পরিহিত চার জন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল যাদের সবার মুখে নেকাব ও হাত মোজা দিয়ে ঢাকা ছিল।
আজ রোববার ওই ছাত্রী চিকিৎসকদের কাছে শনিবারের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। ৭৫ শতাংশ দগ্ধ শরীরের এই ছাত্রীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ভিকটিমকে উদ্ধৃত করে ডাক্তার বলেন, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা দীর্ঘদিন থেকেই তাকে নানাভাবে হেনস্তা করছিলেন।
অধ্যক্ষ তার কু-মতলব চরিতার্থ করতে পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস করে তাকে তা সরবরাহ করারও প্রলোভন দিতেন। যে ছাত্রীই তার কু-প্রস্তাবে সাড়া দিত না তার সঙ্গেই অসদাচরণ করতেন। গত ২৭ মার্চ তার সঙ্গে এমন কাণ্ড করেন সিরাজ। তবে সেদিনই বিষয়টি পরিবারের কাউকে জানায়নি মাদ্রাসাছাত্রী। পরে সে তার পরিবার ও মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকদের সামনে পুরো ঘটনা খুলে বলে ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকে সে ভাইয়ের সঙ্গে মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। কিন্তু ঘটনার দিন ভাইকে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ওই ছাত্রী জানান, ৬ এপ্রিল মাদ্রাসায় প্রবেশের পর চার জন তাকে তিন তলা প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু সর্বাঙ্গ ঢাকা থাকায় তাদেরকে সে চিনতে পারেনি। সেখানে তাদের মধ্যে একজন কথা বলছিল। সে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে চাপ দেয়।
ভিকটিমকে উদ্ধৃত করে ডাক্তাররা জানান, মাদ্রাসাছাত্রী এতে অস্বীকৃতি জানালে ওই চারজন ওড়না দিয়ে তার হাত বেঁধে ফেলে। এর পরই কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ছাত্রীটির অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় আজ দুপুর ১২টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
Comments