কোরিয়ান তারকার গোলে সিটিকে হারাল টটেনহ্যাম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে উঠলেই যেন কি হয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটির। টটেনহ্যাম হটস্পার্সের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল তারাই। লিগে তাদের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেশি সিটিজেনদের। মৌসুমের আগের লড়াইটিও জিতেছিল তারা। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে টটেনহ্যামের কাছে হেরে গেল দলটি। ০-১ গোলের দারুণ জয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা জোরালো করল মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল।
অথচ ম্যাচে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল সিটিই বেশি। কিন্তু জোরালো তেমন কোন আক্রমণ করতে পারেনি দলটি। সে তুলনায় টটেনহ্যামের আক্রমণগুলো ছিল বেশ গোছানো। অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যেতেও পারতো তারা। মুসা সিসোকোর ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ডেলে আলি। তার ভলি বারপোস্টের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
পাঁচ মিনিট পর বড় সুযোগ মিস করে সিটি। পেনাল্টি মিস করেন আর্জেন্টাইন তারকা সের্জিও আগুয়েরো। রহিম স্টার্লিংয়ের শটে ডি বক্সের মধ্যে ড্যানি রোজের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু আগুয়েরোর নেওয়া স্পট কিকটি ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস।
২৩তম মিনিটে গোল পেতে পারতো টটেনহ্যাম। এরিকসনের পাস থেকে হ্যারি কেইনের নেওয়া কোণাকোণি শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক এডেরসন। আট মিনিট পর ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বলে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন নিকোলাস ওতামেন্দি। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ৪২তম মিনিটে রোজের কোণাকোণি ফ্রিকিক লুফে নিতে কোন সমস্যা হয়নি এডেরসনের।
৪৬তম মিনিটে সিটিকে আরও একবার হতাশ করেন লরিস। আগুয়েরো ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন স্টার্লিং। দারুণ শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর হিউং-মিন সনের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৯তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় টটেনহ্যাম। এরিকসেনের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি লক্ষ্যভেদ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড হিউং-মিন। ফলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
Comments