ব্রাদার্সের রুদ্ধশ্বাস জয়ে নায়ক ফজলে রাব্বি

এর আগে দুবার সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট কথা বলল আবার। হারলেই অবনমন এড়াতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে খেলতে হতো রেলিগেশন লিগ, এই অবস্থায় ত্রাতা হয়েই যেন দলকে বাঁচালেন তিনি।
Fazle Mahmud
ফজলে রাব্বি, ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এর আগে দুবার সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট কথা বলল আবার। হারলেই অবনমন এড়াতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে খেলতে হতো রেলিগেশন লিগ, এই অবস্থায় ত্রাতা হয়েই যেন দলকে বাঁচালেন তিনি।

ফতুল্লায় একাদশ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরকে মাত্র ১ বল আগে ১ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স। এতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তলানির চার দলের মধ্যে উপরে আছে ব্রাদার্স।

বৃহস্পতিবার খেলাঘর ও বিকেএসপির কেউ তাদের শেষ ম্যাচে জিতে গেলে অবশ্য রেলিগেশন লিগেই খেলতে হবে ব্রাদার্সকে।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে আঁটসাঁটও বল করে দোলেশ্বরকে ২৫০ রানে বেধে রাখে ব্রাদার্স। বারবার রঙ বদলানো ম্যাচে শেষ বলের আগে গিয়ে ওই রান টপকে যায় তারা।

২৫১ রানের লক্ষ্যে নেমে দলের ৩১ রানে ফিরে যান জুনায়েদ সিদ্দিকি। ওপেনার মিজানুর রহমানকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ফজলে রাব্বি। দলের ৭৯ রানে ৪২ করে মিজানুর ফেরার পর খানিকক্ষণ পথ হারিয়ে ফেলেছিল ব্রাদার্স। মিডল অর্ডারে নেমে দ্রুত বিদায় নিয়ে নেন দেবব্রত দাশ আর ইয়াসির আলি রাব্বি।

কিন্তু অধিনায়ক শরিফুল্লাহকে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে জবাব দেন রাব্বি। ৭৪ করে আরাফাত সানির বলে আউট হয়ে যান তিনি। এরপরই ৪১ করা শরিফুল্লাহ ফরহাদ রেজার শিকার হলে হারতে বসেছিল ব্রাদার্স। আটে নামা মোহাম্মদ শাহজাদার ১৫ বলে ২৯ রানের আচমকা ইনিংসে ফের ম্যাচে ফেরে তারা। টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় রোমাঞ্চে ভরা শেষটায় হাসি ফুটে তাদের।

এর আগে শুরুর চাপ সামলে তাইবুর রহমানের ৭০ আর মার্শাল আইয়ুবের ৫০ রানে আড়াইশ করেছিল দোলেশ্বর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম দোলেশ্বর: ৫০ ওভারে ২৫০/৫  (তাইবুর ৭০, মার্শাল ৫০; বিশ্বনাথ ২/৪৫)

ব্রাদার্স:  ৪৯.৫ ওভারে ২৫১/৯ (ফজলে রাব্বি ৭৪, মিজানুর ৪২; আরফাত ৪/৬২)

ফল: ব্রাদার্স ১ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:  ফজলে রাব্বি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago