রুদ্ধশ্বাস জয়ে সুপার লিগে মোহামেডান
লক্ষ্য ছিল নাগালের মধ্যেই। সেই লক্ষ্যে লিটন দাস আর ইরফান শুক্কুরের শুরুটাও ছিল দারুণ। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পথ হারিয়ে দুর্বল বিকেএসপির বিপক্ষেই ডুবতে বসেছিল মোহামেডান। টানটান উত্তেজনার পর অভিষেক মিত্রের ব্যাটে তীরে তরি ভিড়েছে তাদের।
ফতুল্লায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একাদশ রাউন্ডের ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে বিকেএসপিকে ১ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। শেষ দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে সুপার লিগ।
আগে ব্যাট পেয়ে ৭ উইকেটে ২৪৯ রান করেছিল বিকেএসপি। লিটন আর অভিষেকের দুই ফিফটিতে ওই রান পেরুলো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
আড়াইশ রানের লক্ষ্যে ইরফানকে নিয়ে অনায়াসে খেলতে থাকেন লিটন। তার আগ্রাসী অ্যাপ্রোচে বড়ছিল রান। দলের ৭৭ রানে ইরফান আউট হওয়ার পর লিটনের সঙ্গে যোগ দেন অভিষেক। জুটিতে আরও ৩৯ রান তুলার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৫৭ বলে ৬ চারে ৫৩ করে ফেরেন লিটন।
এরপর রকিবুল হাসানের সঙ্গে গড়ে উঠে লিটনের আরেক জুটি। ৪৭ রানের জুটির পর ৩৫ করা রকিবুল আউট হয়ে গেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মোহামেডানের মিডল অর্ডার। মোহাম্মদ আশরাফুল, নাদীফ চৌধুরী ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। এক প্রান্ত আগলে তখন মোহামেডানের আশা বাঁচান অভিষেক। ৬৯ বলে ৬৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলার পর অভিষেক আউট হলে আধার ঘনিয়েছিল মোহামেডানের ডেরায়। শেষ দিকের রোমাঞ্চে বাকি কাজ সেরেছেন কাজি অনিক।
এর আগে আমিনুল ইসলামের ৬০ আর শামিম হোসেনের ৪৯ রানে মোহামেডানের সামনে জুতসই লক্ষ্য দিতে পেরেছিল বিকেএসপি।
এই হারে খেলাঘর আর উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবের অবনমন এড়ানোর লিগ খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে বিকেএসপির। দিনের অন্য দুই ম্যাচে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব আর শাইনপুকুর। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে থাকা প্রাইম ব্যাংকের সুপার লিগ নিশ্চিত ছিল আগেই। তবে জিতেও লাভ হলো না শাইনপুকুরের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিকেএসপি: ৫০ ওভারে ২৪৯/৭ (আমিনুল ৬০, শামীম ৪৯ ; রাহাতুল ৩/৩৭)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৯.৫ ওভারে ২৫২/৯ (লিটন ৫৩, অভিষেক ৬৫; হাসান ৪/৩০)
ফল: মোহামেডান ১ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: অভিষেক মিত্র।
Comments