মেসির নাক ভেঙে যা বললেন স্মলিং
ম্যাচের আগেই এক রকম লিওনেল মেসিকে মাঠে দেখে নেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকিটা দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিং। আর নিজের কাজটা করেছেন দারুণভাবেই। ম্যাচে মেসিকে প্রায় খোলসবন্দী রাখতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু এর মাঝে তার হাতে লেগে মেসির নাক ভেঙে যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে অনেক। কিন্তু বার্সেলোনা অধিনায়ক নিজেই এটাকে দুর্ঘটনা বলেছেন বলেই জানিয়েছেন স্ম্যালিং।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ম্যানইউ ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংয়ের হাতের আঘাতে নাকে চোট পান মেসি। ভয়াবহ এ সংঘর্ষে চোখেও আঘাত লাগে তার। তাতে সঙ্গে সঙ্গেই রক্ত পরতে থাকে নাক থেকে। নাক ও চোখের পাশে বেশ কিছু জায়গা ছটেও যায়। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর অবশ্য পুরো ম্যাচই খেলেছেন বার্সা অধিনায়ক। কিন্তু আগের সে ছন্দে আর দেখা যায়নি। তবে ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন বার্সা অধিনায়ক।
সৌভাগ্যবশত বড় কোন সমস্যা হয়নি মেসির। স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। ম্যাচ শেষেই স্মলিংয়ের সঙ্গে মিলিয়েছেন মেসি। এ বিষয় কথাও বলেছেন তারা। স্মলিং বলেন, 'হ্যাঁ, আমরা পরে কথা বলেছি। আমি বুঝতেও পারিনি যে তাকে এভাবে আঘাত করেছি। তবে ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমরা হাত মিলিয়েছি এবং সে বলেছে এটা একটা দুর্ঘটনা ছিল।'
শুধু মেসির সঙ্গেই নয়, ম্যাচে লুইস সুয়ারেজের সঙ্গেও বেশ কয়েকবারই বল দখল নিয়ে ধ্বস্তাধস্তি হয়েছে স্মলিংয়ের। আর এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন উরুগুইয়ান তারকাও। স্মলিংয়ের ভাষায়, 'আমি পরে সুয়ারেজের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের মধ্যে অনেক ধ্বস্তাধস্তি হয়েছে। সে আমার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এবং একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।'
তবে মচে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে মেসির বার্সেলোনাই। লুক শোর আত্মঘাতী গোলে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওল্ডট্রাফোর্ডে জয় পায় দলটি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হয়েছে সমানে সমান। এতো কাণ্ডের পর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাকেই বড় করে দেখছেন স্মলিং, 'এটা খুব দারুণ ব্যাপার যে মাঠে আমাদের মধ্যে তীব্র লড়াই হয় এবং ম্যাচ শেষে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে। দিনশেষে আমরা সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি এবং উপভোগ করেছি।'
Comments