‘নুসরাতকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে’
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তথ্য জানার জন্য আজ (১২ এপ্রিল) ফেনীর সোনাগাজীর ফাজিল মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল।
মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর গত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। এ ঘটনায় জনমানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম হয়।
আমাদের ফেনী সংবাদদাতা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন গিয়ে মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর ওই মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়াও, দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলটি উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামে গিয়ে নুসরাতের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।
এরপর, মাদরাসার সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর বলেন, “আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিলে হয়তো নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা এড়ানো যেত।”
মানবাধিকার কমিশনের ওই প্রতিনিধি দলের মতে, গত ২৭ মার্চের শ্লীলতাহানির ঘটনার সঙ্গে ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে।
ফায়জুল কবীর জানান যে তারা আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই এলাকায় যান এবং সেখানকার বেশ কয়েকজন ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক, পুলিশসহ অনেকের সাক্ষ্য নেন।
এসময় ফয়জুল কবীরের সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক রবিউল ইসলাম ছিলেন।
Comments