কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনের ৭০০ একর চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

হারিয়ে যেতে বসেছে কক্সবাজার জেলায় এশিয়ান হাতির বিচরণক্ষেত্র হিসেবে খ্যাত বনাঞ্চল। একদিকে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ অন্যদিকে সরকারি প্রশাসনিক একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ এই বনকে ফেলেছে হুমকির মুখে।

হারিয়ে যেতে বসেছে কক্সবাজার জেলায় এশিয়ান হাতির বিচরণক্ষেত্র হিসেবে খ্যাত বনাঞ্চল। একদিকে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ অন্যদিকে সরকারি প্রশাসনিক একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ এই বনকে ফেলেছে হুমকির মুখে।

মেরিন ড্রাইভের পাশে এই বনাঞ্চলের নাম হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান। সম্প্রতি এই উদ্যানের শুকনাছরি অংশে  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু সিভিল সার্ভিস একাডেমি’ নির্মাণের জন্য ৭০০ একর জংলা জমি চেয়ে আবেদন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে। অথচ আবেদনকৃত এই বনাঞ্চলটি সরকার ঘোষিত ‘ইকলোজিক্যালি ক্রিটিকাল এরিয়া’র অংশ। যেখানে বিলুপ্তপ্রায় এশীয় হাতির বিচরণ ছাড়াও রয়েছে ১২ প্রজাতির গাছ ও গুল্ম, শুকর, বানর, অজগর ও নানা বন্য প্রাণী। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বন বিভাগও কোনো মন্তব্য করেনি। 

অন্যদিকে কুতুপালংয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরের আকার বাড়ছে প্রতিদিন। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের চাপে হুমকির মুখে পড়েছে উখিয়ার বনাঞ্চল। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার থেকে বরাদ্দ এখানকার প্রায় ৮০০০ একর জমি।

বনাঞ্চলের এই অংশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘এশিয়ান হাতি’র সবচেয়ে বড় বিচরণক্ষেত্র। একসময় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মাঝে সাতটি করিডোর দিয়ে প্রায় দেড়শো হাতি চলাচল করত। এই সংখ্যা এখন নেমে এসেছে ৬০ এর কোঠায়। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের মতো এখানেও গাছ-গুল্ম ও অন্যান্য প্রাণী-সরীসৃপ হুমকির সম্মুখীন।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে...

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago