সুইং করানোর ক্ষমতাই এগিয়ে রেখেছে রাহীকে
এখনও ওয়ানডেতে অভিষেকই হয়নি আবু জায়েদ রাহীর। অথচ টিকে গেছেন বিশ্বকাপ দলে। বেশ বড়সড় চমকই বলা চলে। আর চমকটা এসেছে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে বলেই। বাউন্সি উইকেটে সুইং করানোর দক্ষতাই এগিয়ে রেখেছে সিলেটের এ পেসারকে। রাহীকে বিশ্বকাপ দলে রাখার যুক্তিতে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
নিউজিল্যান্ডে খেলা সবশেষ সিরিজের টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন রাহী। খেলেছেন দুটি টেস্টই। প্রথম টেস্টে উইকেটশূন্য থাকলেও খারাপ বোলিং করেননি তিনি। কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে দারুণ সুইং আদায় করে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে টাইগারদের সেরা বোলার ছিলেন রাহীই। তার আউটসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে উইকেট খুইয়েছেন জিত রাভাল, টম লাথাম ও ব্র্যাডলি ওয়াটলিং। তবে ওয়ানডে না খেললেও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রাহী। তাতে উইকেট পেয়েছেন ৪টি।
মূলত নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে তার সুইং দেখেই তাকে বিবেচনা করে নির্বাচকরা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনও অনেকটা নিউজিল্যান্ডের মতো হওয়ায় টিকে গেছেন তিনি। নান্নুর ভাষায়, ‘নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে সে (রাহী) টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল, ওয়ানডে খেলার সুযোগ হয়তো পায়নি। তবে সেই কন্ডিশনে আমরা যতটা দেখেছি যে ওর বোলিংয়ে যথেষ্ট সুইং আছে।’
‘আমাদের পেসারদের মধ্যে সুইং বোলারের সংখ্যা বেশ কম। যেহেতু ইংলিশ কন্ডিশনে খেলা, আয়ারল্যান্ডেও ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। আর মে এবং জুন মাসের দিকে ঠান্ডাও বেশি থাকে। তাপমাত্রাও অনেক কম থাকে। সেই হিসেবে পেসারদের মধ্যে সুইং বোলার কাউকে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারি তাহলে সেটি আমাদের জন্য বাড়তি পাওনা। সেই চিন্তা করে রাহীকে দলে রাখা হয়েছে।’ – যোগ করে আরও বলেন নান্নু।
তবে বিশ্বকাপে রাহীর জায়গা পাওয়ার মূল কারণই পেসার তাসকিন আহমেদের ইনজুরি। সবশেষ বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তাসকিন। ১২ ম্যাচে ১৪.৪৫ গড়ে পেয়েছিলেন ২২টি উইকেট। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় চোট পান গোড়ালিতে। এরপর ইনজুরি কাটিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটি ম্যাচেও খেললেও পুরনো ছন্দ খুঁজে পাননি।
Comments