রোনালদোর জুভেন্টাসকে হারিয়ে সেমিতে আয়াক্স
অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে রিয়াল মাদ্রিদকে তাদের মাঠে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল আয়াক্স। এবার সেমিফাইনালেও দারুণ এক গল্প লিখল দলটি। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসকে তাদের মাটিতে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট কেটেছে তারা। পিছিয়ে পড়েও তুরিনের বুড়িদের ২-১ গোলে হারায় তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় নেদারল্যান্ডসের দলটি।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পর এবারই প্রথম সেমিতে জায়গা করে নেওয়া দলটি ম্যাচের ২১তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো। দুসান তাদিচের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে দারুণ শট নিয়েছিলেন দাভিদ নেরেস। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় সে শট ফিরিয়ে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক সেজনি। ফিরতি বলে শট নিয়েছিলেন ডনি ভ্যান ডি বিক। কিন্তু তার শট লক্ষ্যে থাকেনি।
দুই মিনিট পর আয়াক্সকেও রক্ষা করেন দলের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। পাওলো দিবালা দূরপাল্লার ভলি ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন এ গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। কর্নার থেকে বল পেয়ে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এ পর্তুগিজ তারকা। অবশ্য এ গোলে দায় রয়েছে অধিনায়ক ম্যাতিয়াস ডি লিটের। নিজের সতীর্থ জোয়েল ভোল্টম্যানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান রোনালদো।
গোল শোধ করতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেয়নি অতিথিরা। পাঁচ মিনিট পরই হাকিম জিয়েখের শট অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডি বিক। ফলে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে তো আরও দুর্দান্ত আয়াক্স। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যস্ত রাখে জুভেন্টাসকে। ৫২তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। ডি বিকের পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে অসাধারণ শট নিয়েছিলেন জিয়েখ। কিন্তু অবিশ্বাস্য দক্ষতায় সে বল ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক সেজনি।
পাঁচ মিনিট পর আবারো অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক। ডি বিকের বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন সেজনি। ৬৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় অতিথিরা। জয়সূচক গোলটি করেন অধিনায়ক ডি লিট। যেন আগের গোলের দায়মোচন করলেন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন হালের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার।
৭০তম মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি মিস করেন নেরেস। সতীর্থের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন এ ব্রাজিলিয়ান। ৭৯মিনিটে আবারও বল জালে জড়িয়ে ছিলেন আয়াক্সের জিয়েখ। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সে গোল। এরপর শেষ দিকে গোল শোধের চেষ্টা করেছিল জুভেন্টাস। কিন্তু লাভ হয়নি। হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
Comments