পোর্তোকে উড়িয়ে দিয়েই সেমিফাইনালে লিভারপুল
গত আসরের ফাইনালিস্ট লিভারপুল। শক্তির বিচারেও পোর্তোর বিপক্ষে এগিয়ে ছিল তারাই। তার উপর ঘরের মাঠে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে এগিয়ে ছিল দলটি। কিন্তু নিজেদের মাঠে ভালো কিছু আশা করেছিল পর্তুগালের দলটি। তবে সুবিধা করে উঠতে পারেনি তারা। উল্টো বড় হার মানতে হয়েছে তাদের। পোর্তোকে তাদের মাঠে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশ দলটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের টিকেট কাটে অলরেডরা।
তবে ম্যাচের শুরুতে দুর্দান্ত ছিল পোর্তো। প্রথম ২৫ মিনিটে ১৩টি শট যার মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। এ সময়ে শট নেওয়া তো দূরের কথা ভালো কোন আক্রমণও করতে পারেনি লিভারপুল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে লিভারপুলের ত্রাতা অ্যালিসন বেকার। মৌসা মারেগার দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন এ ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
১৪তম মিনিটে করোনার ক্রসে একেবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মারেগা। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন মারেগা। অ্যালেক্স তেলেসের ক্রস থেকে বল পেয়ে ভালো শটও নিয়েছিলেন এ ফরাসী। কিন্তু তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৫ অর্ধ থেকে উড়ে আসা বলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন হেক্টর হেরেরা। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণ করতে দেরি করে ফেলেন তিনি। ফলে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ মিস করে দলটি।
উল্টো পরের মিনিটে ধারার বিপরীতে গোল খেয়ে বসে দলটি। নিজেদের প্রথম সুযোগেই গোল আদায় করে নেয় লিভারপুল। ডি বক্সের মধ্যে মোহাম্মদ সালাহর ক্রসে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান সাদিও মানে। তবে শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান। তবে ভিএআরে টিকে যায় সে গোল।
গোল খাওয়ার পর যেন ঝিমিয়ে পড়ে পোর্তো। তবে ২৯তম মিনিটে এদের মিলিতোর পাস থেকে দারুণ শট নিয়েছিলেন ইয়াসিন ব্রাহিমি। তবে সে বল লুফে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি অ্যালিসনকে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো লিভারপুল। অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের শটে আলতো টোকায় দিক বদলে দিয়েছিলেন জেমস মিলনার। তবে অল্পের জন্য বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায় বল।
৫৪তম মিনিটে ফাঁকায় হেড নেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি পোর্তোর তিকুইনহো সুয়ারেজ। চার মিনিট পর তম মিনিটে সালাহর হেড লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে এর দূরপাল্লার শট সহজেই ধরে ফেলেন লিভারপুল গোলরক্ষক। ৬২তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে নেওয়া শটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন করোনা। কিন্তু বলে ঠিক ভাবে পা লাগাতে না পারলে মিস হয় সে সুযোগ।
তবে ৬৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় লিভারপুল। আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের পাস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সালাহ। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এ মিসরীয় ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর ব্যবধান কমায় পোর্তো। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মিলিতো।
৭২তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন মানে। মাঝ মাঠ জর্ডান হেন্ডারসনের পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। আগুয়ান গোলরক্ষককেও কাটিয়েছিলেন। কিন্তু ফাঁকা বারে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি এ সেনেগাল তারকা। পাঁচ মিনিট পর অবশ্য ব্যবধান বাড়ায় দলটি। হেন্ডারসনের দারুণ ক্রসে হেড দিয়ে দিক বদলে বল জালে জড়ান রবার্তো ফিরমিনো। ৮৪তম মিনিটে পোর্তোর জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ফাঁকায় হেড নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ ডাচ ডিফেন্ডার।
Comments