হেরেই চলেছে মোহামেডান

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবারো হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লীগে উঠে জয়ের দেখা পায়নি তারা। টানা তিনটি ম্যাচই হেরেছে দলটি। এদিন হারল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। তানবির হায়দারের স্পিন ঘূর্ণি ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের উইকেটের সামনে ও পেছনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মোহামেডানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ধানমণ্ডি পাড়ার ক্লাবটি।
ছবি: সংগ্রহীত

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবারো হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লীগে উঠে জয়ের দেখা পায়নি তারা। টানা তিনটি ম্যাচই হেরেছে দলটি। এদিন হারল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। তানবির হায়দারের স্পিন ঘূর্ণি ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের উইকেটের সামনে ও পেছনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মোহামেডানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ধানমণ্ডি পাড়ার ক্লাবটি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মোহামেডানের। সে ধারা থেকে গেছে শেষ পর্যন্ত। গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোন জুটি। এক তুষার ইমরান ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি ফলে ৩২ বল বাকী থাকতেই ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী দলটি।

মোহামেডানের জার্সিতে খেলতে নেমে আগের চার ম্যাচে সুবিধা করে উঠতে পারেননি তুষার। তবে এদিন বিপদের দিনে হাল ধরেছিলেন। করেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান। কিন্তু সতীর্থদের সমর্থন পাননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে জাতীয় দলের ওপেনার লিটন কুমার দাসের ব্যাট থেকে। আবাহনীর হয়ে ৪.৪ ওভার বল করে তুষারসহ আরও তিন উইকেট ফেলেছেন তানবির। এছাড়া ২টি উইকেট পান খালেদ আহমেদ।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালেরও। দলীয় ১৩ রানেই দুই উইকেট হারায় দলটি। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইমতিয়াজ হোসেন তান্নাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। গড়েন ১২০ রানের জুটি। তাতেই কার্যত দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর ইমতিয়াজ আউট হলেও দিলশান মুনাবিরাকে নিয়ে ৯৯ বল বাকী থাকতেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সোহান। 

৮৫ বলে হার না মানা ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন সোহান। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এর আগে উইকেটরক্ষক হিসেবে করেছেন চারটি ডিসমিসাল। এছাড়া ৫৪ রান আসে ইমতিয়াজের ব্যাট থেকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৪.৪ ওভারে ১৫৯ (লিটন ২৬, শুক্কুর ১, অভিষেক ২, রকিবুল ৮, তুষার ৫৬, আশরাফুল ২১, রাহাতুল ১৬, সোহাগ ১১, শফিউল ২, অনিক ২, সাকলাইন ৩*; খালেদ ২/৩২, নাসির ১/২০, তাইজুল ১/৩৫, সানি ১/২৩, মুনাবিরা ০/১, শাকিল ০/৬, এনামুল হক ১/২৩, তানবীর ৪/১৬)।

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৩৩.৩ ওভারে ১৬৩/৩ (ইমতিয়াজ ৫৪, সানি ৮, তাইজুল ১, সোহান ৮৩*, মুনাবিরা ১৫*; শফিউল ১/১২, সোহাগ ১/২২, রাহাতুল ০/৫৭, সাকলাইন ১/৩৬, অনিক ০/১৭, আশরাফুল ০/১০, অভিষেক ০/৯)।

ফলাফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নুরুল হাসান সোহান (শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব)।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago