ফেরদৌস-নূরকে নিয়ে মমতার সমালাচনায় মোদি

বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস ও নূরের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ (২০ এপ্রিল) সকালে পশ্চিমবঙ্গের বুনিয়াদপুরে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ বিষয়ে সমালোচনা করেন তিনি।
Narendra Modi
২০ এপ্রিল ২০১৯, পশ্চিমবঙ্গের বুনিয়াদপুরে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এনডিটিভি

বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস ও নূরের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ (২০ এপ্রিল) সকালে পশ্চিমবঙ্গের বুনিয়াদপুরে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ বিষয়ে সমালোচনা করেন তিনি।

মোদি বলেন, “তৃণমূলকে এখন বাইরের দেশের মানুষকে এনে নির্বাচনের প্রচার করতে হচ্ছে। ভারতের ইতিহাসে যা আর দ্বিতীয়টি নেই। ভোট ব্যাংক এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব কিছু করতে পারেন।”

গত ১৪ এপ্রিল রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী রোড শোতে দেখা গেছে বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌসকে। পরদিন কলকাতার অদূরে দমদমের তৃণমূলের আরেক নির্বাচনী সভায় দেখা যায় বাংলাদেশের আরেক অভিনেতা গাজি নূরকেও। যদিও দুজনেরই ভিসা বাতিল করে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। ফেরদৌস চলে গেলেও গাজি এখন ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতায় রয়েছেন। 

এদিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি একইভাবে রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন। মোদি বলেন, “রাজ্যের মানুষ এখন বিজেপির পক্ষে। তাই দেখে তৃণমূল নেত্রীর ঘুমে স্পিড বেকার পড়ে গেছে।”

রাজ্য জুড়ে বেকার যুবকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেখানে চাকরি নেই। সন্ত্রাস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের চাঁদাবাজি চলছে। সব কিছু থেকে মানুষ এখন মুক্তি চাইছেন। মুক্তি পেতে বিজেপিকে সমর্থন করার আহ্বান জানান মোদি।

মোদি আরও বলেন, “রাজ্যে সারদা-নারদা-রোজভ্যালির মাধ্যমে গরিব মানুষের টাকা লুট করা হয়েছে। এর বিচার করা হবে। একইসঙ্গে বিজেপির বহু নেতা-কর্মী সমর্থকের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এসব কিছুর আইনত বিচার করা হবে।”

রাজ্য জুড়ে বিজেপির পক্ষে ঢেউ বইছে, এটি দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম উড়ে গেছে বলেও কটাক্ষ করেন মোদি। বলেন, “পিসি ভাইপো মিলে বাংলার বারোটা বাজিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।”

“আমি আগে টেলিভিশনের দেখে দিদিকে বিশ্বাস করতাম কিন্তু এখন বুঝতে পারছি উনি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করেন”, মন্তব্য মোদির।

নরেন্দ্র মোদির মতে, দ্বিতীয় দফার ভোটের সময় মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন, এটা নজিরবিহীন। ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ এইভাবে প্রতিবাদ করে সেটা দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র আছে বলেই প্রমাণ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago