ওয়াসার পানি সম্পূর্ণ সুপেয়: এমডি
ওয়াসার পানির মান নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ঢাকায় পানি সরবরাহকারী সংস্থাটি দাবি করেছে যে, তাদের পানি সম্পূর্ণরূপে সুপেয়।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে করে টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তার দাবি, কোনো ধরনের ল্যাব টেস্ট না করেই টিআইবি এ মন্তব্য করেছে।
গত বুধবার টিআইবি তার গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ সরবরাহকৃত পানি অপরিষ্কার এবং ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ সরবরাহকৃত পানি দুর্গন্ধযুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের পরিবারের ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ সদস্য কোন না কোন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পানির নিম্নমানের কারণে ৯১ শতাংশ সেবাগ্রহীতা পানি ফুটিয়ে পান করেন। এভাবে পানি বিশুদ্ধ করতে গিয়ে ঢাকায় বছরে ৩৩২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার গ্যাস পুড়ছে।
ঢাকা ওয়াসার নিয়োগ, পদায়ন ও বদলি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণসহ ক্রয় প্রক্রিয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন, মিটার রিডিং নেয়া এবং সর্বোপরি গ্রাহক সেবায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে দাবি করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০১৮ সময়কালে পানি ও পয়নিষ্কাশন সংক্রান্ত সেবা বা সমস্যা নিয়ে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করা জরিপে অংশগ্রহণকারী ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ সেবাগ্রহীতার ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ-ই নানা ধরনের অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন।
টিআইবির এই গবেষণা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে তাকসিম এ খান বলেন, টিআইবি যে পদ্ধতিতে এ গবেষণা করেছে সেটি একপেশে ও উদ্দেশ্য মূলক।
টিআইবির গবেষণায় পেশাদারিত্ব ছিল না এমন পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৩৩২ কোটি টাকার অপচয়ের বিষয়ে টিআইবির গবেষণা অনুমান নির্ভর ও বাস্তবতা বিবর্জিত। ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানি উৎস থেকে গ্রাহকের জলাধার পর্যন্ত শতভাগ বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।
সবাই এ পানি ফুটিয়ে খায় এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে তাকসিম এ খান বলেন, জারের পানি ও বোতলজাত পানি তাহলে কোথায় যায়?
তাকসিম এ খান আরও বলেন, গত ১১ থেকে ১৯ নভেম্বর ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ২৪৩টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনা পরীক্ষা করে পানির মান সন্তোষ জনক পাওয়া গেছে। তবে মাঝে মধ্যে কিছু পুরনো সরবরাহ লাইনে দূষণ পানি পাওয়া যায়। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করা হয়।
Comments