পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সহিংসতায় কংগ্রেস কর্মী নিহত

ছবি: রয়টার্স

পশ্চিমবঙ্গের ভোট সহিংসতায় একজন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুজন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুর্শিদাবাদে বুথের বাইরে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

তৃতীয় দফার ভোটে আজ বালুরঘাট, মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ এবং জঙ্গীপুর আসনের বেশ কিছু বুথে ইভিএম মেশিন খারাপ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দ্রুত সেখানে ইভিএম মেশিন ঠিক করে ভোট স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়।

ভারতের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১১ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় ১৯ এপ্রিল। আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দফার পর চতুর্থ দফা ভোট হবে ২৯ এপ্রিল।

তিন দফায় লোকসভার ৫৪৩ আসনের মেধ্যে ৩০২ আসনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৪১ আসনের ভোট হবে বাকি চার দফায়।

এদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তিন জেলায় পাঁচ আসনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ৫২ শতাংশ ভোট হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলেই তাদের আশা।

এদিন মুর্শিদাবাদের ডোমকল, লালবাগসহ বেশ কিছু জায়গায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কোথায়ও কোথাও দুপক্ষের মধ্যে বোমাবাজি ও গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এইকভাবে মালদার চাচলের বেশ কয়েকটি বুথের বাইরেও সংঘর্ষের খবর মিলেছে। যদিও সংঘর্ষের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এমন কি নির্বাচন কমিশনেরও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার দুটি আসন কংগ্রেসের ঘাটি বলে পরিচিত। তবে গত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ আসনটি বামফ্রন্টের দখলে ছিল। এবার সেখানে মূল লড়াই হচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।

জঙ্গীপুর কংগ্রসের প্রার্থী প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি। সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে মাহফুজা খাতুনকে। মালদার দুটি আসনে কংগ্রসের প্রার্থীরা প্রভাবশালী। যদিও মালদা উত্তরের মৌসুম বেনজির নূর সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিয়ে সেখান থেকে লড়ছেন।

কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃণমূলের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জেরেই এদিন এই সংঘর্ষ হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

তৃতীয় দফার ভোটে রাজ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ ভোটার এবং ভারত জুড়ে প্রায় ১৮ কোটি ভোটার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আর আজই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেলা বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, শশী থারুর, বরুণ গান্ধীর মতো হেভি ওয়েট প্রার্থীদের।

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

1h ago