যৌন নিপীড়নের শাস্তি ‘পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া’ ‘কাজ থেকে বিরত রাখা’!

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক আক্কাস আলীকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২২ সাল পর্যন্ত আগামী আট সেমিস্টার তিনি কোনো ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তবে তিনি বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধাই উপভোগ করবেন।
যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি আক্কাস আলীর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক আক্কাস আলীকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২২ সাল পর্যন্ত আগামী আট সেমিস্টার তিনি কোনো ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তবে তিনি বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধাই উপভোগ করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি আজ আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না সে সম্পর্কেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিভাগের দুই নারী শিক্ষার্থীর আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর তার শাস্তি চেয়ে ৭ এপ্রিল থেকে টানা ক্লাস বর্জন করে আসছেন শীক্ষার্থীরা। অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই তদন্ত কমিটি ১৮ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তবে এই সময়ের মধ্যে তিনি বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধাই উপভোগ করবেন।

আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তদন্তে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খন্দকার নাসিরউদ্দিন মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকে বলেন, এটা খুব গোপনীয় প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদন আমরা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চাই না। তবে এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই যে আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার কথা স্বীকার করেন তিনি। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েজন বলেছেন, আমাদের দাবি ছিল আক্কাস আলীকে পুরোপুরি বরখাস্ত করতে হবে। তবে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি।

আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিভাগের দুজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগে তারা বলেন, থিসিস পেপার জমা দেওয়ার জন্য তারা শিক্ষকের চেম্বারে গেলে ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি তারা নিপীড়নের শিকার হন।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

41m ago