শ্রীলঙ্কায় হামলাকারীদের মধ্যে ছিল বিদেশি ডিগ্রিধারী, নারী ১

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে চার্চ ও হোটেলে আত্মঘাতী হামলাকারীদের পরিচয় আসতে শুরু করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, হামলায় অংশ নেওয়া নয় জনের মধ্যে অন্তত একজনের বিদেশি ডিগ্রি ছিল।
বিস্ফোরণের পর সেন্ট সেবাস্টিয়ান চার্চের ভেতরে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে চার্চ ও হোটেলে আত্মঘাতী হামলাকারীদের পরিচয় আসতে শুরু করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, হামলায় অংশ নেওয়া নয় জনের মধ্যে অন্তত একজনের বিদেশি ডিগ্রি ছিল।

শ্রীলঙ্কার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন বুধবার বলেছেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজন যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করেছে। উচ্চশিক্ষার জন্য এরপর সে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল। সংখ্যায় এরা ছিল মোট ৯ জন। তাদের মধ্যে নারী একজন।

পুলিশ বলেছে, নয় জনের মধ্যে আট জনের পরিচয় সম্পর্কে তারা নিশ্চিত। এরা সবাই শ্রীলঙ্কার নাগরিক, উচ্চ শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৯-এ দাঁড়িয়েছে। আহত আরও পাঁচ শতাধিক মানুষের চিকিৎসা চলছে। যেকোনো সন্ত্রাসী হামলায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে হতাহতের এই সংখ্যাটিই সর্বোচ্চ।

এরই মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। গতকাল মঙ্গলবার ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’র মাধ্যমে তারা বলেছে, হামলায় মোট সাত জন অংশ নিয়েছিল। এই দাবি সত্যি হয়ে থাকলে, ইরাক ও সিরিয়ার বাইরে এটাই ছিল আইএস-এর সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।

আর শ্রীলঙ্কা সরকার বলেছে, গত মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ডে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে প্রার্থনারত নির্দোষ লোকজনের ওপর হামলা হয়েছে।

উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বলেন, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত ও জামিয়াতুল মিল্লাতু ইবরাহিম নামের দুটি সংগঠন এই হামলার নেপথ্যে ছিল।

হামলার পর থেকে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। সর্বশেষ গত রাতে তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে মোট আটকের সংখ্যা প্রায় ৬০ জনে পৌঁছেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন সিরিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।

দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, সব জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে জোর তল্লাশি চলছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago